সোমবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

তাইওয়ান রাষ্ট্রনেতার যুক্তরাষ্ট্র সফরে কড়া পদক্ষেপের বার্তা চীনের

তাইওয়ান রাষ্ট্রনেতার যুক্তরাষ্ট্র সফরে কড়া পদক্ষেপের বার্তা চীনের

উইলিয়ম লাই

তাইওয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্ট উইলিয়ম লাই শনিবার আমেরিকার উদ্দেশে রওনা দেন। দ্বীপরাষ্ট্রটির পরবর্তী প্রেসিডেন্টের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন লাই। এই আবহে তাঁর আমেরিকা সফর একেবারেই ভালো চোখে দেখছে না চীন।

ইতোমধ্যেই একাধিকবার তাইওয়ানের ভূখন্ড  ঘিরে সামরিক মহড়া চালিয়েছে চীনা সেনাবাহিনী। তবে নির্বাচনের ঠিক আগেই তাইওয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্টের মার্কিন সফর নিয়ে আরও বেশি অসন্তুষ্ট হয়ে পড়েছে চীনা প্রশাসন। আগামী বছরের জানুয়ারিতে তাইওয়ানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। এই নির্বাচনে লড়তে যাচ্ছেন লাই। তিনি মূলত প্যারাগুয়ের প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সফরে বেরিয়েছেন। তবে যাওয়া-আসার পথে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রাবিরতি করবেন।  তাইপে ও ওয়াশিংটন বলছে, এই ধরনের যাত্রাবিরতি একটি স্বাভাবিক বিষয়। এর জেরে চীনের ‘উসকানিমূলক’ কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার যুক্তি নেই। তবে বেইজিং ইতোমধ্যে লাইয়ের যুক্তরাষ্ট্র সফরের বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। তারা এই সফরকে তাইওয়ানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের আরও একটি প্রতীক হিসেবে দেখছে। লাইয়ের এই সফরের পর একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেখানে বলা হয়, তাইওয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্টের মার্কিন সফরের দিকে কড়া নজর রাখছে চীন। দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতা রক্ষা করতে সব রকম পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, লাইয়ের মার্কিন সফরের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই তাইওয়ান ঘিরে চীনের সামরিক মহড়ার তীব্রতা বেড়েছে।

গত বৃহস্পতিবার তাইওয়ান সীমান্তের কাছেই চীনের যুদ্ধবিমান ও রণতরী দেখতে পাওয়া যায়। যার মধ্যে ১০টি বিমান তাইওয়ানের ‘এয়ার ডিফেন্স জোনে’ ঢুকে পড়েছিল।’ চীনের এই অনুপ্রবেশের পর নিরাপত্তাবাহিনী গোটা পরিস্থিতি নজরে রাখছে বলে জানিয়েছিল তাইওয়ান প্রশাসন। এছাড়াও, এই ধরনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য যুদ্ধবিমান, মিসাইল সিস্টেম, রণতরী প্রস্তুত রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল।

তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে দেখে। অন্যদিকে তাইওয়ানকে নিজেদের অঞ্চল দাবি করে চীন। তাইওয়ানের কর্মকর্তারা বলছেন, লাইয়ের যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রাবিরতিকে একটা অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করতে পারে চীন। তারা শিগগিরই তাইওয়ান ঘিরে সামরিক মহড়া শুরু করতে পারে।

আগামী বছর তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ভোটারদের ভয় দেখাতে চীন এই কাজ করতে পারে। তারা তাইওয়ানের ভোটারদের ‘যুদ্ধের ভয়’ দেখাতে পারে। বেইজিং লাইকে পছন্দ করে না। তিনি অতীতে নিজেকে ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতার জন্য একজন কার্যকর কর্মী’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। লাই অবশ্য তাঁর নির্বাচনী প্রচারের সময় বারবার বলেছেন, তিনি তাইওয়ানের স্থিতাবস্থা পাল্টে দিতে চান না।

মাস কয়েক আগে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনও যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন। সে সময়ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল চীন। তখন বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছিল।

সর্বশেষ খবর