সোমবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

মঙ্গল গ্রহের কাদায় প্রাণের খোঁজ!

মঙ্গল গ্রহের কাদায় প্রাণের খোঁজ!

মঙ্গলে কি এবার মিলবে প্রাণের সন্ধান? পৃথিবীর বিলিয়নিয়াররা মঙ্গলগ্রহে মানুষের আবাস তৈরির যে স্বপ্ন দেখছে তা কি সত্যি হবে? মঙ্গলে মার্কিন মহাকাশযান পানির সন্ধান পেতেই তুঙ্গে উঠেছে আলোচনা। পাশাপাশি সেখানকার ঋতুচক্র নিয়ে উৎসাহী হয়ে পড়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীর মতোই সেখানে বিভিন্ন সময় ঋতু বদলায় বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তাঁরা। ২০১১ সালে মঙ্গলে কিউরিওসিটি নামের একটি রোভার পাঠায় মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। ছয় চাকার ওই রোভারটি মঙ্গলগ্রহের বুকে ঘুরে বেড়িয়ে চালিয়েছে একাধিক গবেষণা। সম্প্রতি বিজ্ঞানভিত্তিক পত্রিকা ন্যাচার-এ মঙ্গল সংক্রান্ত একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। সেখানেই কিউরিওসিটির থেকে পাওয়া বহু চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এনেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। গবেষকদের দাবি, মঙ্গলের বুকে বেশ কয়েকটি জায়গায় ফাটলের সন্ধান পেয়েছে কিউরিওসিটি রোভার। ফাটলগুলোর মাঝের অংশে রয়েছে থকথকে কাদা। গ্রহটি সৃষ্টির প্রথম পর্যায়ে ঋতুচক্রের এটাই সবচেয়ে বড় প্রমাণ বলে মনে করছেন তাঁরা। ফরাসি জ্যোতির্বিজ্ঞানী উইলিয়াম রেপিনের দাবি, ‘মঙ্গলের কাদায় রয়েছে লবণাক্ত খনিজ সালফেট। বারবার বৃষ্টির জেরে গ্রহটির ওই অংশে প্যাচপ্যাচে কাদা তৈরি হয়েছে। কখনো কখনো সেটি বেশি  শুকনো হয়ে যাওয়ায় পৃথিবীর মতো মাটি চিড়ে চৌচির হয়েছে। কোটি কোটি বছর ধরে সেখানে পলি জমেছে। কিউরিওসিটি রোভারটি তার লেজার যন্ত্র দিয়ে ওই কাদামাটি খুঁজে বের করেছে।’ বিজ্ঞানীদের দাবি, প্রাণ সৃষ্টির ক্ষেত্রে পানির প্রয়োজন। আর মঙ্গলে জলের অস্তিত্ব মেলায় সেখানে জীবনের হদিশ মেলার সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছে। ‘ঋতুচক্র অনেক সময়ই রাসায়নিক পদার্থের ঘনত্ব নিয়ন্ত্রণ করে। যা জন্ম দেয় পলিমারের। পাশাপাশি কার্বন-ভিত্তিক অণুর দীর্ঘ শৃঙ্খল তৈরিতেও এই ধরনের জলবায়ু খুবই সহায়ক।

কার্বন-ভিত্তিক অণুর শৃঙ্খল প্রাণ সৃষ্টির জন্য যে রাসায়নিক ব্লক তৈরি হয়, তাকে নিয়ন্ত্রণ করে।’ ন্যাচার পত্রিকার প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর