সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

চাঁদের কাছে গিয়েই বিধ্বস্ত রাশিয়ার চন্দ্রযান লুনা-২৫

চাঁদের কাছে গিয়েই বিধ্বস্ত রাশিয়ার চন্দ্রযান লুনা-২৫

মহাকাশে পাঠানো মিশন মুন নিয়ে বিপাকেই পড়ল রাশিয়া। রাশিয়ার পাঠানো লুনা-২৫ মহাকাশযান অনিয়ন্ত্রিত কক্ষে ঘুরতে চাঁদের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। এর আগে শনিবার পাওয়া খবর অনুযায়ী মুন মিশনে লুনা-২৫ রাশিয়ার এ অন্তরীক্ষযানটি প্রযুক্তিগত ত্রুটির জন্য আজ চাঁদে সফট ল্যান্ডিং হওয়ার কথা ছিল। এ যান চাঁদের দক্ষিণ-মেরুতে ল্যান্ডিং করত। কিন্তু ল্যান্ডিংয়ের আগে কক্ষে প্রবেশ করার সময় কিছু সমস্যা তৈরি হয়। যা সামাল দিতে পারেনি যানটি। চাঁদের মাটিতে নতুন তথ্য ও জলের ভান্ডার খোঁজার জন্য পাঠানো হয়েছিল।

৪৭ বছর পরে রাশিয়া লুনা-২৫ নামের মহাকাশযানটি চাঁদে পাঠিয়েছিল। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের কক্ষপথ নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।

রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমস শনিবার সকালে জানিয়েছে, গ্রিনিচ মান সময় ১১.৫৭ মিনিটে লুনা-২৫ চন্দ্রযানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রসকসমসের বিবৃতিতে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে তথ্য-প্রমাণে মনে হচ্ছে, ৮০০ কেজি ওজনের চন্দ্রযানটি চাঁদের উপরিভাগের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়ে বিধ্বস্ত হয়। সোমবার মহাকাশযানটির চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কেন এ চন্দ্রযানটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেটি খুঁজে বের করার জন্য একটি বিশেষ কমিশন গঠন করা হবে বলে রসকসমস জানিয়েছে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের জন্য রাশিয়ার লুনা-২৫ প্রতিযোগিতা করছে ভারতের চন্দ্রায়ন-৩-এর সঙ্গে। ভারতের চন্দ্রযান আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের কথা রয়েছে।

ক্ষয়িষ্ণু অবস্থা : এক সময়ে মহাকাশ অভিযানে যে সোভিয়েত রাশিয়ার বিশাল ভূমিকা ছিল, এ অভিযানের ব্যর্থতা থেকে ক্ষয়িষ্ণু অবস্থা পরিষ্কার হয়ে উঠছে। কিন্তু এ ব্যর্থতা রাশিয়ার মহাকাশ শক্তির পতনকেই তুলে ধরেছে, যারা স্নায়ুযুদ্ধের সময় মহাকাশ অভিযানে বিশাল ভূমিকা রেখেছিল। ১৯৫৭ সালে পৃথিবীর কক্ষপথে স্পুটনিক-১ নামে প্রথম মহাকাশযান পাঠিয়েছিল রাশিয়া এবং সোভিয়েত নভোচারী ইউরি গ্যাগারিন ছিলেন প্রথম মানুষ যিনি ১৯৬১ সালে মহাকাশে ভ্রমণ করেছিলেন। চন্দ্রপৃষ্ঠে রাশিয়ার মহাকাশযান বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটল এমন সময় যখন দুই ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দেশটি বহু দশকের মধ্যে বড় ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়েছে। পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় স্থলযুদ্ধ যার প্রধান কারণ।

সর্বশেষ খবর