পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি দুটি বিতর্কিত বিলে অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। এই বিলগুলো পাস হয়ে আইনে পরিণত হলে দেশটির সামরিক বাহিনী আরও ক্ষমতাবান হবে। যদিও প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষর ছাড়াই নতুন ওই দুটি আইন হয়েছে। সেগুলো হলো ‘অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যামেন্ডমেন্ট বিল-২০২৩’ এবং ‘পাকিস্তান আর্মি অ্যামেন্ডমেন্ট বিল-২০২৩’। পাকিস্তানের পার্লামেন্টের উভয় কক্ষেই এই দুই আইনসংক্রান্ত বিল অনুমোদন হয়েছিল। এরপর বিল দুটি পাঠানো হয়েছিল প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের জন্য। প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) জানান, তিনি ওই দুই বিলে স্বাক্ষর করেননি।
এই দুটি আইনে সামরিক গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের পরিচয় প্রকাশকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এবং সেনাবাহিনীকে অবমাননার জন্য কারাদণ্ডের বিধান চালু করা হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, প্রেসিডেন্ট আলভির এই বক্তব্যে আইন দুটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন আসতে পারে। আর প্রচলিত আইন অনুযায়ী, যেহেতু প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে স্বাক্ষরিত বিল ১০ দিনের মধ্যে পাওয়া যায়নি, এগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে আইনে রূপান্তরিত হয়েছে।