চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার, যাকে ইসরো এবার বিক্রম ল্যান্ডার বলছে না, একে বলছেন বিক্রম। প্রজ্ঞান রোভারের পেটের ভিতরে রাখা হয়েছে। শুধু বিক্রম ল্যান্ডার চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করবে। তার ভিতরে প্রজ্ঞান রাখা আছে। প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক প্রজ্ঞান রোভার কী কী কাজ করবে। প্রজ্ঞান রোভারে দুটি পেলোড রয়েছে। প্রথমটি হলো লেজার ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কোপ। এটি চন্দ্র পৃষ্ঠে উপস্থিত রাসায়নিকের পরিমাণ এবং গুণমান অধ্যয়ন করবে। খনিজের সন্ধানও করবে। এ ছাড়া প্রজ্ঞানের দ্বিতীয় পেলোড হলো আলফা পার্টিকেল এক্সরে স্পেকট্রোমিটার। এটি এলিমেন্ট কম্পোজিশন স্টাডি করবে, যেমন- ম্যাগনেসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, সিলিকন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, টিন এবং আয়রন। ল্যান্ডিং সাইটের চারপাশে চন্দ্র পৃষ্ঠে অভিযান চালাবে প্রজ্ঞান। এবার আসা যাক বিক্রম ল্যান্ডারের কাজ নিয়ে। বিক্রম ল্যান্ডারে চারটি পেলোড রয়েছে। প্রথম রম্ভা। এটি চন্দ্র পৃষ্ঠে সূর্য থেকে আসা প্লাজমা কণার ঘনত্ব, পরিমাণ এবং তারতম্য পরীক্ষা করবে। দ্বিতীয় চাস্টে। এটি চাঁদের পৃষ্ঠের তাপ পরীক্ষা করবে। তৃতীয়টি হলো ইলসা। এটি অবতরণ স্থানের চারপাশে ভূমিকম্পের কার্যকলাপ তদন্ত করবে। চতুর্থটি লেজার রেট্রোরেফ্লেক্টর অ্যারে। এটি চাঁদের গতিশীলতা বোঝার চেষ্টা করবে।