শনিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

সীমান্ত উত্তেজনা হ্রাসে সম্মত হলেন মোদি-জিন পিং

সীমান্ত উত্তেজনা হ্রাসে সম্মত হলেন মোদি-জিন পিং

আর সপ্তাহ দুয়েক পরই দিল্লিতে জি২০ সম্মেলন। সেখানে যোগ দিতে আসছেন শি জিন পিং। তার আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে গত বুধবার আলোচনায় বসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং। দীর্ঘদিন ধরে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে বিরোধ চলছে। যা মাঝে মাঝে যুদ্ধের উত্তেজনা সৃষ্টি করে। আর জোহানেসবার্গে ওই বৈঠকেই দুই নেতা সীমান্ত উত্তেজনা হ্রাসের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণে একমত হয়েছেন।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা জানিয়েছেন, সংক্ষিপ্ত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নিয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ক্ষেত্রে যেসব বিষয়ে এখনো বিতর্ক আছে, তা দ্রুত মিটিয়ে ফেলা উচিত। কারণ ভারত-চীন সম্পর্ক তখনই স্বাভাবিক হবে, যখন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

কোয়াত্রা আরও জানিয়েছেন, দুই নেতাই একটা বিষয়ে একমত হয়েছেন। সেটা হলো, তারা নিজেদের দেশে এ বিষয়ের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বলবেন, তারা যেন দ্রুত উত্তেজনা কম করার জন্য পদক্ষেপ নেন।

প্রধানমন্ত্রী মোদি ও শি জিন পিং ব্রিকসের মঞ্চে হাত মেলান এবং অভিবাদন জানান। তখনো তারা কিছুক্ষণ কথা বলেন। পরে দুই নেতার বৈঠক হয়।

এর আগে গত নভেম্বরে বালিতে জি২০ ডিনারে দুই নেতা হাত মিলিয়েছিলেন এবং হেসেছিলেন। সেখানেও দুই নেতার মধ্যে সামান্য কথাবার্তা হয়েছিল। তবে সীমান্ত নিয়ে সে সময় কোনো কথা হয়নি।

এদিকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, শি জিন পিং ও মোদির কথোপকথন ছিল খোলামেলা এবং তারা ভারত-চীন সম্পর্ক নিয়ে গভীর আলোচনা করেছেন। প্রেসিডেন্ট শি বলেছেন, ভারত ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক ভালো হওয়ার অর্থ হলো, দুই দেশের ও মানুষের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো গুরুত্ব পাওয়া এবং এই অঞ্চলে ও বিশ্বে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের উপযোগী পরিবেশ তৈরি হওয়া। দুই দেশকেই সামগ্রিক স্বার্থের কথা মাথায় রাখতে হবে। সীমান্ত সমস্যার ঠিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে। দুই দেশকেই সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতে হবে।

লাদাখকাণ্ডের পর এই প্রথমবার দুই নেতার মুখোমুখি বৈঠক হলো। চীন অবশ্য দাবি করেছে, ভারতই বৈঠকের অনুরোধ করেছিল।

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির এই দুই পরাশক্তি প্রতিবেশী দেশের মধ্যে হিমালয় অঞ্চলে প্রায় ৩,৪৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ বিরোধপূর্ণ সীমান্ত রয়েছে। তিন বছরের বেশি সময় ধরে সীমান্তে এ দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র রূপ নিয়েছে। দুই দেশের মধ্যে যে ৩,৪৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে, সে সীমান্তের বেশির ভাগ অংশ নির্ধারিত নয় এবং যেটি দ্য লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) নামে পরিচিত।

তবে ভারতের দৈনিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবর অনুযায়ী, মোদি-শি বৈঠকের সময় সেখানে কোনো দোভাষী বা নোট গ্রহণের জন্য কাউকে রাখা হয়নি।

সর্বশেষ খবর