এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোতে গত বছর চরম দারিদ্র্য মানুষের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৭ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এর কারণ হিসেবে করোনা মহামারি ও ক্রমবর্ধমান জীবনযাত্রার ব্যয়ের কারণকে দায়ী করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে উন্নয়নশীল এশিয়ায় সাড়ে ১৫ কোটির বেশি মানুষ চরম দারিদ্র্যের শিকার হয়েছে, যা মহামারির আগের তুলনায় ৬ কোটি ৭৮ লাখ বেশি। ২০১৭ সালের মূল্যের ওপর ভিত্তি করে এবং মুদ্রাস্ফীতির জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ রেখে দিনে ২.১৫ ডলারের কম অর্থে জীবনযাপন করাকে চরম দারিদ্র্য বলছে বিশ্বব্যাংক। দারিদ্র্য হ্রাসে অব্যাহত অগ্রগতির প্রত্যাশা সত্ত্বেও এ অঞ্চলের জনসংখ্যার আনুমানিক ৩০.৩ শতাংশ মানুষের আয় ২০২৩ সাল নাগাদ দিনে গড়ে ৩.৬৫ থেকে ৬.৮৫ ডলার থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এডিবি বলেছে, উন্নয়নশীল এশিয়ার সরকারগুলো গোটা অঞ্চলজুড়ে ৪৬টি অর্থনীতিকে কভার করে। সংকট কাটাতে সামাজিক কল্যাণ জোরদার, আর্থিক পরিষেবাগুলোকে উন্নত, অবকাঠামোতে বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনে জোর দিতে হবে এসব সরকারকে।
এডিবিপ্রধান অর্থনীতিবিদ আলবার্ট পার্ক বলেন, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল করোনা মহামারি কাটিয়ে উঠেছে। তবে জীবনযাত্রার বর্ধিত সংকট দারিদ্র্য দূরীকরণের গতিকে হ্রাস করছে।