ডায়ানা, সাবেক ব্রিটিশ প্রিন্সেস- যাকে বলাই হতো ‘দি মোস্ট ফটোগ্রাফড ওম্যান ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’। আজ তার মৃত্যুর ২৬তম বার্ষিকী। তার মারা যাওয়ার পেছনেও শেষ পর্যন্ত দায়ী করা হয় পাপারাজ্জি বা যারা অনুমতি ছাড়াই ছুটে গিয়ে তারকাদের ছবি তোলেন, তাদের। ১৯৯৭ সালে ৩১ শে আগস্ট প্যারিসে এক গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান প্রিন্সেস ডায়ানা। এতদিন পরও ব্রিটিশ রাজপরিবারের এ সাবেক বধূর গল্প এখনো বহু মানুষের হৃদয়ে মুগ্ধতা ছড়িয়ে রেখেছে। ১৯৯৭ সালের এ দিনে প্রেমিক দোদি আল-ফায়েদের লিমুজিনে করে প্যারিস যাচ্ছিলেন ডায়ানা। মোটরবাইকে পাপারাজ্জি ফটোগ্রাফাররা তাড়া শুরু করলে ডায়ানাকে বহনকারী লিমুজিনটি দ্রুতগতিতে যাওয়ার সময় প্যারিসের পন্ট দে ল’ আলমা টানেলে দুর্ঘটনার শিকার হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান দোদি ও ডায়ানা। ডায়ানার মৃত্যু ব্রিটিশ রাজপরিবারকে সংকটে ফেলে দিয়েছিল।
তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার প্রিন্সেস ডায়ানাকে ‘জনগণের রাজকুমারী’ আখ্যা দিয়েছিলেন। বিশ্বের সবচেয়ে সুপরিচিত এ নারীর মৃত্যুতে সেদিন শোক পালন করেছিল লাখ লাখ মানুষ। মৃত্যুর ২৬ বছর পরও ডায়ানার আকর্ষণ মানুষের কাছে খুব একটা কমেনি। তাকে নিয়ে অসংখ্য বই ও সংবাদপত্রে অগণিত নিবন্ধ প্রকাশ এবং অসংখ্য টিভি প্রোগ্রাম নির্মাণ ও প্রচার হয়েছে। ১৯৯২ সালে প্রথম ডায়নার জীবনী লিখেছিলেন অ্যান্ডরু মর্টন। এ বইটিতেই প্রথম ডায়ানার বিবাহিত জীবনে দূরত্বের বিষয়টি প্রকাশ পায়। মর্টন বলেন, ‘ডায়ানার এখনো প্রভাব রয়েছে, এখনো তাকে নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র তৈরি হচ্ছে, তার সম্পর্কে গল্প লেখা হয়েছে, মানুষ এখনো এ নারীর প্রতি আগ্রহী।’