শিরোনাম
শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
মুম্বাইয়ে জোটের বৈঠক

তিন প্রস্তাব গ্রহণ করল ‘ইন্ডিয়া’

কলকাতা প্রতিনিধি

তিন প্রস্তাব গ্রহণ করল ‘ইন্ডিয়া’

আগামী বছর ভারতে লোকসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) সরকারকে উৎখাত করতে ইতোমধ্যেই ‘ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স’ (ইন্ডিয়া) নামে একটি জোট গঠন করেছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলগুলো। গতকাল ভারতের বাণিজ্য নগরী মুম্বাইয়ের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে ইন্ডিয়া জোটের তৃতীয় বৈঠক হয়। তাতে তিন প্রস্তাব গ্রহণ করল ইন্ডিয়া। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, এবার রাজ্যে রাজ্যে আসন সমঝোতা করে ঐক্যবদ্ধ লড়াই হবে। আর জোটের গতি বাড়াতে গতকালই কোঅর্ডিনেশন কমিটি গঠন করা হয়। ভবিষ্যতে ইন্ডিয়া জোটের বিভিন্ন কর্মসূচি ও দৈনিক বিভিন্ন কাজকর্ম পরিচালনা করবে এ কমিটি। কমিটিতে স্থান পেয়েছে মোট ১৪ জন সদস্য।

এ কমিটিতে স্থান পেয়েছেন কংগ্রেসের কেসি বেণুগোপাল, এনসিপি সভাপতি শারদ পাওয়ার, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ও ডিএমকে নেতা এমকে স্ট্যালিন, তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি, শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী) সঞ্জয় রাউত, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, জেডিইউ নেতা লালন সিং, আম আদমি পার্টির সাংসদ রাঘব চাড্ডা, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ও জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেন, সমাজবাদী পার্টির জাভেদ খান, সিপিআই নেতা ডি রাজা, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ওমর আবদুল্লা, পিডিপি নেত্রী মেহেবুবা মুফতি এবং সিপিআইএমের একজন সদস্য (নাম ঘোষণা হয়নি)। যদিও কোঅর্ডিনেশন কমিটির নেতার নাম এখনো ঘোষণা করা হয়নি। সেক্ষেত্রে জোটের নীতি নির্ধারণের শেষ কথা বলবেন এসব নেতারাই। কোথায় কখন কি কর্মসূচি নেওয়া হবে তা সিদ্ধান্ত হবে এ কমিটিতে।

যদিও এ কমিটিতে নাম নেই কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী, তার ছেলে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জি বা লালুপ্রসাদ যাদবের মতো নেতারা।

মুম্বাইয়ের এ বৈঠকে তিনটি বড় সংকল্প নেওয়া হয়। প্রথমত আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে জোটের প্রার্থীরা যতটা সম্ভব একসঙ্গে লড়াই করবে। খুব শিগগিরই প্রতিটি রাজ্যে আসন ভাগাভাগির ব্যবস্থা শুরু করা হবে এবং তা শেষও করা হবে। দ্বিতীয়ত দেশের সাধারণ মানুষের উদ্বেগ ও গুরুত্বের বিষয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে দ্রুততম সময়ে সভার আয়োজন করা এবং তৃতীয়ত বিভিন্ন ভাষায় ‘জুড়েগা ভারত, জিতেগা ভারত’ থিমের ওপর যোগাযোগ এবং প্রচারাভিযানের সমন্বয় সাধন করা।

বৈঠকের ব্যাপারে সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি জানান, মূলত রাজ্য স্তরেই হবে আসন ভাগাভাগির প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা। তিনি বলেন, ‘আমাদের জোট বাড়ছে। আরও দুটি দল এসেছে। আগামী দিনে রাজ্যস্তরে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা হবে। আমাদের সবার একটাই উদ্দেশ্য ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো এবং ভারতীয় সংবিধানের সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শকে রক্ষা করা।’ তবে জোটের একটি নির্দিষ্ট লোগো প্রকাশের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। পাশাপাশি বিরোধ ইন্ডিয়া জোটের নতুন কার্যালয় খোলার ব্যাপারেও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এদিন বিরোধী জোটের লোগো বা প্রতীকের উন্মোচন ঘিরে ব্যাপক অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। লোগোতে কি ট্যাগলাইন লেখা হবে তা নিয়েও নেতাদের মধ্যে মতানৈক্য তৈরি হয়। স্বাভাবিক কারণেই পিছিয়ে যায় লোগো উন্মোচন।

সর্বশেষ খবর