সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির রুটে রুশ হামলা

জাতিসংঘের মধ্যস্ততায় হওয়া চুক্তি জুলাই মাসে ভেস্তে গেলে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির প্রধান রুট হয়ে ওঠে দানিউব। এবার সেই রুটে ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ওডেসা অঞ্চলের দানিউব নদী বন্দরে সাড়ে ৩ ঘণ্টাব্যাপী ওই ড্রোন হামলায় অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে দুজন। গতকাল ভোরে এ হামলা চালানো হয় বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। তবে ইউক্রেনের বিমান বাহিনী টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে জানায়, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ২৫টি ইরানের তৈরি শাহেদ ড্রোনের মধ্যে ২২টিকে ভূপাতিত করেছে। কিছু ইউক্রেনীয় মিডিয়া রেনি বন্দরেও বিস্ফোরণের খবর দিয়েছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর কিয়েভকে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণব্যবস্থা হিমার্স সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় হওয়া কৃষ্ণসাগর শস্যচুক্তি জুলাইয়ে ভেস্তে যায়। এ চুক্তির আওতায় কৃষ্ণসাগর দিয়ে নিরাপদে শস্যের চালান পাঠানো সম্ভব হচ্ছিল। চুক্তিটি থেকে রাশিয়া বেরিয়ে যাওয়ার পর ইউক্রেনের দক্ষিণ ওডেসা ও মাইকোলাইভ অঞ্চলে হামলা বাড়িয়েছে মস্কো। দক্ষিণ ওডেসা ও মাইকোলাইভ অঞ্চলের বন্দরসহ অন্যান্য অবকাঠামো শস্যের চালান পাঠানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

গত মাসে রাশিয়ার অবরোধ উপেক্ষা করে ইউক্রেন থেকে কৃষ্ণসাগর দিয়ে প্রথম বেসামরিক পণ্যবাহী একটি জাহাজ তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পৌঁছায়।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শনিবার বলেন, আরও দুটি জাহাজ দেশটির অস্থায়ী কৃষ্ণসাগরের শস্য করিডর দিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।

সেনাবাহিনীতে ঢুকতে রুশদের হিড়িক : রাশিয়ার এতদিন পশ্চিমা গণমাধ্যম খবর দিচ্ছিল রুশ যুবকরা সেনাবাহিনীতে ঢুকার ভয়ে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে। তবে এখন বলা হচ্ছে সেনাবাহিনীতে এ বছর আরও ২ লাখ ৮০ হাজার সদস্যকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়োগে দেশটির নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ স্বাক্ষরও করেছেন। পুতিনের ঘনিষ্ঠ এই শীর্ষ কর্মকর্তা আরও জানান, রুশ সশস্ত্র বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার প্রচেষ্টায় স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এরপরই তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১ জানুয়ারি থেকে প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার লোককে সশস্ত্র বাহিনীতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধে রুশ বাহিনী যখন ধুঁকছে তখন বিষয়টি সামনে আনলেন মেদভেদেভে।

যুদ্ধ শুরুর পর কয়েক ধাপে নাগরিকদের     জোরপূর্বক সামরিক বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করে মস্কো। অনেকে পালিয়ে যায়। এ লড়াইয়ে প্রচুর সেনা, গোলাবারুদ, ট্যাংক ও বিমান হারিয়েছে রাশিয়া। ক্ষয়ক্ষতির পূরণে নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর