সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন

মন্দার দিকে যাচ্ছে ইউরোপের অর্থনীতি

এক দিকে ভারী বৃষ্টি অপর দিকে ভয়াবহ দাবানল, গ্রীষ্মে একসঙ্গে দুটি বৈরী আবহাওয়ার মুখোমুখি হয়েছে ইউরোপ। শুধু জলবায়ু নয় একই অবস্থা অর্থনীতিতেও। অঞ্চলটিতে মূল্যস্ফীতি এখন হু হু করে বেড়ে চলেছে। গত বছরের তুলনায় এখন তা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। প্রবৃদ্ধি নিয়ে বাড়ছে হতাশা। এতে উদ্বিগ্ন সেখানের কর্মকর্তারা। সম্প্রতি ইউরোপের পার্চেজিং ম্যানেজার ইনডেক্স কমেছে। এতে বোঝা যাচ্ছে অঞ্চলটির অর্থনৈতিক মন্দার সম্মুখীন।

দ্য ইকোনমিস্ট জানিয়েছে, অর্থনীতিতে সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি নিয়ে নীতিনির্ধারকরা ১৪ সেপ্টেম্বর ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) বৈঠক সামনে রেখে কিছুটা উদ্বিগ্ন থাকবেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকটির প্রধান ক্রিস্টিন লাগার্ড মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। সুদের হার এমন একটি পর্যায়ে রাখার কথা বলছেন যাতে মূল্যস্ফীতি ২ শতাংশে নিয়ে আসা যায়। তবে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপেও কাজ হচ্ছে না। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের মতো কোনো পদক্ষেপেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না ইউরো-জোনের মূল্যস্ফীতি। মূলত জ্বালানি খরচের কারণেই মূল্য বেড়েছে ইউরোপে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে মূল্য বাড়ছে চাহিদার ভিত্তিতে। তবে মূল্যস্ফীতি বাড়ার ক্ষেত্রে একই পথে রয়েছে তারা। যদিও ইউরোপ কিছুটা পেছনে। প্রশ্ন হচ্ছে অঞ্চলটির মূল মূল্যস্ফীতি কী কমবে। কারণ মূল্যস্ফীতির হার এখনো উচ্চ পর্যায়ে।

এদিকে উচ্চ সুদের হারও ইউরোপের অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। বেশি বেকায়দায় পড়েছে নির্মাণ খাত। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর মুদ্রানীতির বেশি প্রভাব পড়বে চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে। মূলত দুটি বিষয়ের কারণে মূল্যে তারতম্য হয়। এর মধ্যে একটি হলো শ্রমবাজারের অবস্থা। ইউরোপে এখনো বেকারত্বের হার রেকর্ড নিম্ন পর্যায়ে। কিন্তু কোম্পানিগুলো খুব কম সংখ্যক কর্মী নিয়োগ করছে। অন্যটি হলো পণ্য ও সেবার চাহিদা দুর্বল হয়ে যাওয়া। এতে মূল্যস্ফীতি কমে আসে। শ্রমবাজারের পরিস্থিতি ছাপিয়ে জয় পেতে পারে দুর্বল চাহিদা, যা ছড়িয়ে পড়তে পারে সার্ভিস খাতেও। ফলে কমে আসবে মূল্যস্ফীতি।

সর্বশেষ খবর