শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
জি২০ সম্মেলন

আলোচনায় যা প্রাধান্য পাচ্ছে

আগামীকাল ভারতের রাজধানী দিল্লিতে শুরু হচ্ছে জি২০ সম্মেলন। চলবে পরশু দিন পর্যন্ত। বিশ্বের নেতৃস্থানীয় প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীরা এতে অংশ নিচ্ছেন। এ বছরের সম্মেলনের মূল আলোচ্য বিষয় হচ্ছে টেকসই উন্নয়ন। কিন্তু ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ বিষয়েও আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোর এ সংগঠনে এবার আরও কী কী বিষয় আলোচনায় জায়গা পাচ্ছে সে ব্যাপারে বিবিসি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি জি২০ ভুক্ত দেশগুলোর আলোচনার পরিসর বেড়েছে। তাদের আলোচ্যসূচি শুধু অর্থনীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই জ্বালানি, আন্তর্জাতিক ঋণ মওকুফ এবং বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর করদানের মতো বিষয়ও আলোচনায় স্থান করে নিয়েছে।

প্রতি বছর জি২০ ভুক্ত কোনো একটি দেশ সভাপতির দায়িত্ব নেয় এবং সম্মেলনের আলোচ্য বিষয় ঠিক করে। ২০২২ সালে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিল ইন্দোনেশিয়া এবং সম্মেলন হয়েছিল বালিতে। আর এবারের সভাপতি হিসেবে ভারত চায় দিল্লির এ সম্মেলন যাতে টেকসই উন্নয়নের প্রতি মনোনিবেশ করে এবং উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যাতে সমানভাবে ছড়িয়ে পড়ে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়। এ সম্মেলনে জোটবদ্ধ আলোচনার পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় আলোচনার সুযোগ রাখা হয়েছে।

এদিকে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ এবং দারিদ্র্য নিরসনে বিশ্বব্যাংকের মতো বৈশ্বিক সংস্থার আরও বেশি পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

বিতর্কের বিষয় কী : ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের বিষয়টি দিল্লি সম্মেলনে বিতর্কের সৃষ্টি করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০২২ সালের মার্চে জি২০ ভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা কোনো চুক্তিতে সম্মত হতে পারেননি যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার প্রতিনিধিদের মধ্যে যুদ্ধ নিয়ে তীব্র বিতর্কের কারণে। গত বছর বালিতে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের বেশির ভাগজুড়ে ছিল ইউক্রেনের সঙ্গে পোল্যান্ডের সীমান্তের ভিতর পড়া যুদ্ধে ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্র সংকট নিয়ে আলোচনা। মে মাসে চীন এবং সৌদি আরব ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে অনুষ্ঠিত পর্যটন নিয়ে জি২০ সম্মেলন বয়কট করে। কারণ কাশ্মীর ভারত ও পাকিস্তান- দুই দেশই তাদের নিজেদের ভূ-খণ্ডের অংশ বলে দাবি করে। ভারত ও চীনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত বিতর্কও এক ধরনের উত্তেজনা তৈরি করেছিল যখন চীন অরুণাচল প্রদেশ এবং আকসাই চিন উপত্যকা তাদের নিজেদের ভূখণ্ড উল্লেখ করে একটি মানচিত্র প্রকাশ করেছিল।

 

বাইডেন, সুনাক, ট্রুডো ; দিল্লিতে কে কোথায় থাকবেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা আজই দিল্লিতে পৌঁছাবেন। তারা দিল্লিতে কোথায় থাকবেন, তা একনজর দেখে নেওয়া যাক।

জো বাইডেন : মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নয়াদিল্লিতে পৌঁছানোর পর আইটিসি মৌর্য হোটেলে থাকবেন। আজই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হওয়ার কথা।

ঋষি সুনাক : যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবারের মতো ভারত সফর করবেন ঋষি সুনাক এবং তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তিনি সাংগ্রি লা হোটেলে থাকবেন।

চীনের প্রতিনিধি দল : সম্মেলনে চীনের প্রতিনিধিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং। এবারই প্রথম জি২০ সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট উপস্থিত থাকছেন না। ২০০৮ সালে প্রথম জি২০ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। চীনের প্রতিনিধি দলটি দিল্লির তাজ হোটেলে থাকবে।

জাস্টিন ট্রুডো : কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ইন্দোনেশিয়ায় আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। সেখান থেকে নয়াদিল্লিতে পৌঁছাবেন তিনি। নয়াদিল্লিতে দ্য ললিত হোটেলে থাকবেন ট্রুডো।

অ্যান্টনি আলবানিজ : অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ ইম্পিরিয়াল হোটেলে উঠবেন।

 

 

সর্বশেষ খবর