মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

আলোচনায় নতুন অর্থনৈতিক করিডর

ভারত, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপকে সংযুক্ত করতে রেল ও জাহাজ চলাচলের করিডর হচ্ছে। গত পরশু নয়াদিল্লিতে জি২০ সম্মেলন শেষে নতুন এই অর্থনৈতিক করিডরের ধারণা ও ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এতে সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লিয়েনও উপস্থিত ছিলেন।

বাইডেন চুক্তিটিকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে অভিহিত করে এর ফলে বাণিজ্য ও দূষণমুক্ত জ্বালানি রপ্তানি সহজতর হবে বলে উল্লেখ করেন। তাঁর ভাষ্যমতে, এটি আরও স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্য গঠনে অবদান রাখবে।

তবে এই অর্থনৈতিক করিডরের কথা এর আগে জানানো হয়নি। ফলে শুরু হয়েছে এ প্রকল্প নিয়ে চর্চা। তবে প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ উইলিয়াম ড্যালরিম্পল বলেছেন, জি২০ সম্মেলনে ভারত-মধ্যপ্রাচ্য অর্থনৈতিক করিডরের ঘোষণা দেওয়ার ফলে ভারত থেকে মিসর পর্যন্ত বিস্তৃত প্রাচীন লোহিত সাগর আন্তর্জাতিক মনোযোগ পাবে। এই লাল সাগরের কথা তিনি তার নতুন বই ‘দ্য গোল্ডেন রোড’-এও উল্লেখ করেছেন বলে জানান। এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে উইলিয়াম ড্যালরিম্পল বলেন, জি২০ সম্মেলনে ভারত-মধ্যপ্রাচ্য অর্থনৈতিক করিডরের ঘোষণায় মনে হচ্ছে ভারত থেকে মিসর পর্যন্ত লোহিত সাগর দিয়ে যাওয়া প্রাচীন বাণিজ্য রুট, যা দ্য গোল্ডেন রোড নামে পরিচিত, ফের আন্তর্জাতিক গুরুত্ব ফিরে পাবে। নতুন উদ্যোগটিকে, চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগের মোকাবিলায় পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, চীন, এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রেললাইন এবং বন্দরের মতো বিশালাকারের অবকাঠামো নির্মাণ করছে। দ্য নিউইয়র্ক পোস্টে ‘গরম মাসালা’ শিরোনামের একটি বই পর্যালোচনায় ড্যালরিম্পল লিখেছেন, ২০২২ সালের মার্চে একদল মার্কিন নৃবিজ্ঞানী মিসরীয় দেবী আইসিসের একটি মন্দির খনন করছিলেন। জায়গাটি বর্তমান মিসরে লোহিত সাগরের তীরে বেরেনিকে অবস্থিত। শিগগিরই রেলপথ ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপকে নিয়ে চালু হবে, রেল ও জাহাজ চলাচলের অর্থনৈতিক করিডর চালু হবে। এই ঐতিহাসিক করিডরের সঙ্গে যুক্ত থাকবে ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ইইউ, ফ্রান্স, ইতালি, জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র।

সর্বশেষ খবর