মার্কিন চোখরাঙানি উপেক্ষা করে রাশিয়া পৌঁছে পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। রাশিয়ার আমুর অঞ্চলে পুতিনের সঙ্গে দেখা হয় কিমের। তারা করমর্দন করেন। পুতিন কিমকে বলেন, ‘আপনাকে দেখে খুবই আনন্দিত।’ কিমও তাকে ধন্যবাদ জানান, রাশিয়ায় আসার আমন্ত্রণ জানানোর জন্য। মঙ্গলবার বিলাসবহুল সাঁজোয়া ট্রেনে চেপে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম রাশিয়ার সীমান্ত সংলগ্ন খাসান শহরে পৌঁছান। সেখানে তাকে স্বাগত জানানোর জন্য বিশেষ অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়। চার বছর পর কোনো বিদেশ সফরে গেলেন কিম। এদিকে গতকালই দুটি স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশের পূর্ব উপকূলে এ অস্ত্র পরীক্ষা করেছে তারা। সাম্প্রতিক অতীতে বারবারই অস্ত্র পরীক্ষার নামে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে বিতর্কে জড়িয়েছে উত্তর কোরিয়া। সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্যে গতকাল সকালে কসমোড্রোমে কিমকে স্বাগত জানান পুতিন। তারা ভোসতোচনি রকেট ও মহাকাশ কেন্দ্রে বৈঠকে বসেন। সেখানে কিম পুতিনকে ‘পবিত্র যুদ্ধে’ (ইউক্রেন যুদ্ধ) রাশিয়ার প্রতি পূর্ণ ও শর্তহীন সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। উত্তর কোরিয়ার নেতা বলেন, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ফ্রন্টে পিয়ংইয়ং সব সময় মস্কোর পাশে থাকবে। তাছাড়া রাশিয়ার সঙ্গে ?উত্তর কোরিয়ার সম্পর্ককে অগ্রধিকারমূলক বলেও আখ্যায়িত করেন তিনি। উত্তর কোরিয়াকে স্যাটেলাইট তৈরিতে কিমকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন পুতিন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় নিউজ এজেন্সি। এ সময় অস্ত্র চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে কি না কিমের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেছেন, সব বিষয়েই আপনার সঙ্গে আলোচনা হবে। গত মাসেই পুতিন ও কিমের মধ্যে চিঠি বিনিময় হয়েছিল। চিঠিতে দুই নেতা দীর্ঘদিনের দ্বিপক্ষীয় কৌশলগত সম্পর্ক জোরদারের অঙ্গীকার করেছিলেন। সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই চালানো এবং সাম্রাজ্যবাদ ধ্বংসের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। নতুন করে পুতিনকে বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিলেন কিম।

গতকাল ২০১৯ সালের পর তাদের মুখোমুখি দেখা। প্রথমে পুতিন কিমকে বলেন, ‘আপনার ব্যস্ত সময় সূচিতেও আমাদের আমন্ত্রণ গ্রহণের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনাকে দেখে আমি খুবই খুশি হয়েছি। এটি আমাদের নতুন কসমোড্রোম।’ এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ধারণা করছে, ইউক্রেন যুদ্ধে হামলার গতি বাড়াতে উত্তর কোরিয়া থেকে অস্ত্র নিতে চাইছেন পুতিন।