শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

পাকিস্তানের কাছে ১৭০টি পরমাণু অস্ত্র

পাকিস্তানের কাছে ১৭০টি পরমাণু অস্ত্র

বুলেটিন অব দ্য অ্যাটমিক সায়েন্টিস্ট-এ প্রকাশিত ‘২০২৩ পাকিস্তান নিউক্লিয়ার হ্যান্ডবুক’ নামে একটি বিশেষ প্রতিবেদনে লেখা আছে  পাকিস্তানে প্রায় ১৭০টি পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদ রয়েছে। গত সোমবার এ প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয় ভারতের প্রায় একই পরিমাণ পরমাণু অস্ত্র মজুদ রয়েছে। ফেডারেশন অফ আমেরিকান সায়ান্টিস্টের গবেষক ম্যাট কোর্ডা জানিয়েছেন, ভারত ও পাকিস্তানের প্রায় একই পরিমাণ পরমাণু অস্ত্র মজুদ রয়েছে কিন্তু তাদের পরিস্থিতি একেবারেই ভিন্ন। ভবিষ্যতে দুই দেশের পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদ কতটা বাড়বে তা স্পষ্ট নয়। তবে এটা নিশ্চিতভাবে বলা যেতে পারে এর কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় পারমাণবিক-সংক্রান্ত বিপদ বাড়ছে। দুই দেশ কেবল তাদের পারমাণবিক প্রস্তুতিই বাড়াচ্ছে না, তারা এমন ব্যবস্থাও তৈরি করছে যা সংঘাতের সময়ে আরও দ্রুত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। রিপোর্ট অনুযায়ী পাকিস্তানের কাহুতা এবং গাদওয়ালে পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য যে প্ল্যান্ট তৈরি করা হচ্ছে তা প্রায় শেষের দিকে। নিউজ এজেন্সি রয়টার্স জুনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যা অনুযায়ী পাকিস্তান ও চীন ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য ৪.৮ বিলিয়ান ডলারের চুক্তি করেছিল।

স্যাটেলাইট ইমেজ দেখায় যে, পাকিস্তান ইসলামাবাদের পশ্চিমে কালা চিত্তা দাহার পর্বতমালায় তার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং তাদের মোবাইল লঞ্চারগুলো মোতায়েন করেছে। এর সঙ্গে পাহাড়ের পশ্চিম অংশ (যেখানে তারা ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি ও পরীক্ষা করে) এবং পূর্ব অংশ (ফতেহ জংয়ের উত্তর, যেখানে এটি পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র রাখে) প্রসারিত করছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ মিসাইলের জন্য রোড-মোবাইল ট্রান্সপোর্টার ইরেক্টর লঞ্চারগুলো। এ বছরের জুন মাসে পাকিস্তান তার রোড-মোবাইল ট্রান্সপোর্টার   ইরেক্টর লঞ্চার প্রদর্শন করেছিল। পাকিস্তান দেখিয়েছিল এর মাধ্যমে নাসর, শাহিন-আইএ ব্যালিস্টিক মিসাইল এবং বাবর ক্রুজ মিসাইল নিক্ষেপ করা যেতে পারে।

সর্বশেষ খবর