শিরোনাম
শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

মরুভূমির নিচে পানির বিশাল ভাণ্ডার

মরুভূমি মানেই তপ্ত বালিরাশি। পানির চরম অভাব। এবার এ তপ্ত মাটির নিচেই মিলল জলাধার। আফ্রিকার সবচেয়ে বড় দেশ সুদানসহ আরও কয়েকটি দেশজুড়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভূগর্ভস্থ ভান্ডারের অস্তিত্ব মিলেছে। আধুনিক পদ্ধতি ও প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে সেই পানির সদ্ব্যবহারের চেষ্টা চলছে। মিসর, সুদান থেকে চাদ ও লিবিয়া পর্যন্ত সেই জলাধার বিস্তৃত। গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকে খননের সময় ‘নিউবিয়ান স্যান্ডস্টোন অ্যাকুইফার’ নামের সেই ভান্ডার আবিষ্কার করা হয়েছিল। ভূতত্ববিদ হিসেবে আবদাল্লাহ ওমর ২০ বছর ধরে অ্যাকুইফার নিয়ে গবেষণা করছেন। কয়েকটি জায়গায় ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি পানির নাগাল পাওয়া যায়। ২০০৪ সালে খননের সময় ওমর এল গা-আব অঞ্চলে একটি উৎস খুলে দেন। ওমর বলেন, ‘উত্তরের অংশে গভীরতা ৬০ মিটার অথবা আরও কম। ভাবতে পারেন? একটি সেচ প্রণালি দিয়ে ৫০ হেক্টর জমিতে সেচ করা সম্ভব। সেটা সত্যি অনন্য। এতে জলাধারের শক্তিশালী প্রবাহ স্পষ্ট হয়ে যায়। গা-আব এল-হাশার মতো মরুভূমির গ্রাম এ বিশাল পানির ভান্ডারের কারণে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছে। ২০ বছর আগে সেই উৎস আবিষ্কারের পর থেকে মানুষ নিয়মিত পানির নাগাল পাচ্ছে। আবদুল হাফিজ সাইদের মতো চাষি সেই সুযোগের পুরোপুরি সদ্ব্যবহার করছেন। তার নিজস্ব কয়েক শ হেক্টর খেতে তিনি নানা ধরনের শাকসবজি ও ফলমূল উৎপাদন করছেন।

সর্বশেষ খবর