শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

মেক্সিকোর পার্লামেন্টে এলিয়েনের প্রমাণ নিয়ে হাজির

মেক্সিকোর পার্লামেন্টে এলিয়েনের প্রমাণ নিয়ে হাজির

পৃথিবীর বাইরেও কি প্রাণ আছে? মানুষের মতো বা মানুষের চেয়েও উন্নত কোনো প্রাণীদের গ্রহ রয়েছে? এ জল্পনা বহুদিনের। এর মধ্যেই মেক্সিকোর আইনসভা কংগ্রেসের অধিবেশনের একটি প্রেজেন্টেশন তোলপাড় ফেলে দিয়েছে। ওই প্রেজেন্টেশনে একজন স্বঘোষিত ইউএফও গবেষকের উপস্থাপন করা দুটি নমুনা দেখেছেন দেশটির আইন প্রণেতারা। ওই গবেষকের দাবি, মমি করা নমুনা দুটি এলিয়েন বা ভিনগ্রহীর মৃতদেহ। মঙ্গলবার সাংবাদিক জেইমি মসান দাবি করেছেন, নমুনা দুটি ২০১৭ সালে পেরুতে পাওয়া গেছে। ছোট আকারের মমিগুলোর গায়ের রং চকের মতো। এদের প্রত্যেক হাতে তিনটি করে আঙুল রয়েছে। আর রয়েছে শুকিয়ে কুঁচকে যাওয়া মাথার মতো আকৃতি। পাশে সাংকেতিক ভাষার দোভাষী নিয়ে মসান বলেন, ‘এই অমানবীয় প্রাণীগুলো আমাদের পার্থিব জগতের অংশ নয়।’ এই দেহগুলো সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। গবেষণাগারে এই মৃতদেহগুলোর ডিএনএ পরীক্ষা করেও আশ্চর্য তথ?্য মিলেছে বলে দাবি ইউএফও বিশেষজ্ঞ তথা সাংবাদিক জেমি মসানের। তার দাবি, মৃতদেহগুলোর ডিএনএ পরীক্ষা রিপোর্ট থেকে জানা যায়, এ প্রাণীদের দৈহিক গঠনের অন্তত ৩০ শতাংশ বিজ্ঞানীদের অচেনা। পৃথিবীর কোনো প্রাণীর সঙ্গে শরীরে সেই নমুনা পাওয়া যায় না। মসানের উপস্থাপনা মেক্সিকোর বিজ্ঞান মহলের অনেককেই ধাঁধায় ফেলে দিয়েছে। মমির ছবিগুলো প্রকাশ্যে আসার পর ন্যাশনাল অটোনমার ইউনিভার্সিটি অব মেক্সিকোর পদার্থবিদ্যা ইনস্টিটিউট একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছে, তাদের গবেষকরা নিজেরা কখনোই মসানের নমুনাগুলো পরীক্ষা করেননি। তবে ২০১৭ সালে একজন ক্লায়েন্টের পাঠানো ত্বকের নমুনার কার্বন পরীক্ষা করেছেন। মেক্সিকোর শীর্ষ অ্যাস্ট্রোবায়োলজিস্ট আন্তিগনা সেগুরাও মসানের দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ড. সেগুরা বলেন, মসানের দাবির স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ নেই। পুরো ব্যাপারটিকেই তিনি ‘অত্যন্ত লজ্জাজনক’ বলে আখ্যা দেন।

তবে পেরুর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, ২০১৭ সালে দেশটির একটি সমাধিতে কিছু মমির সন্ধান পান মসান। পেরুর ওইসব মমির নমুনা পরীক্ষা করে দেখা যায়, ওগুলো মানুষ ও প্রাণীর হাড়, ভেজিটেবল ফাইবার ও সিনথেটিক অ্যাডহেসিভের সমন্বয়ে বানানো।

সর্বশেষ খবর