মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
জাতিসংঘ অধিবেশন

পরিবেশ ও যুদ্ধই এবার প্রাধান্য পাবে

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশন শুরু হচ্ছে আজ। ধারণা করা হচ্ছে- এবারের অভিবেশনে জলবায়ু সংকট ও ইউক্রেন যুদ্ধ গুরুত্ব পাবে। এবারের অধিবেশনে অন্তত ১৪০ জনের বেশি নেতা ও রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি অংশ নেবেন। দুই সপ্তাহের এ অধিবেশনে একাধিক বৈঠকে এসব বিষয় নিয়ে বিতর্ক শুরু হবে। জাতিসংঘের বার্ষিক আয়োজনের মধ্যে এ বিতর্কের প্রতি নজর থাকে বিশ্ববাসীর।

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস গত সপ্তাহে সাংবাদিকদের বলেছেন, এটি হলো এমন একটি মুহূর্ত যখন প্রতি বছর বিশ্বের সব প্রান্তের নেতারা শুধু যে বিশ্ব পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন তা নয়, সাধারণ কল্যাণের জন্য কাজ করেন। এ মুহূর্তের বিশ্বের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

এবারের সাধারণ বিতর্ক ‘আস্থা পুনর্গঠন এবং বিশ্বব্যাপী সংহতি পুনরুজ্জীবিত করা : সবার জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি এবং স্থায়িত্বের দিকে ২০৩০ এজেন্ডা এবং এর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে ত্বরান্বিত করা’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত হবে।

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ভূমিকা : জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ১৯৩ সদস্য রাষ্ট্র মানবাধিকার, আন্তর্জাতিক আইন ও অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতের বিষয় নিয়ে বিতর্কে অংশ গ্রহণ করে। বিভিন্ন প্রস্তাব ও ঘোষণা গ্রহণ করার ক্ষমতা রয়েছে এ পরিষদের। যেগুলো সংস্থাটির নির্দেশনা নীতি হওয়ার কথা। জাতিসংঘ সনদ অনুসারে, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যেসব ইস্যু নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনা করা হচ্ছে না সেগুলো সমাধানের দায়িত্বও রয়েছে এ পরিষদের।

কারা কথা বলবেন : এবারের সাধারণ অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর প্রেসিডেন্ট ডেনিস ফ্রান্সিস। সাধারণত প্রথম দেশ হিসেবে ব্রাজিল ভাষণ দিয়ে থাকে। দেশটির প্রেসিডেন্ট লুলা ডি সিলভা এবার তার ভাষণে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলাকে গুরুত্ব দিতে পারেন। এরপর ভাষণ দেয় স্বাগতিক দেশ যুক্তরাষ্ট্র। গত মঙ্গলবার দেওয়া ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৈশ্বিক নেতা হিসেবে ওয়াশিংটনের ভূমিকা তুলে ধরতে চেষ্টা করবেন। এরপর বক্তা নির্ধারিত হয় জটিল হিসাব-নিকাশের মাধ্যমে। প্রতিনিধিত্ব, ভৌগলিক ভারসাম্য ইত্যাদি বিবেচনা একের পর এক নেতা ভাষণ দেবেন।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে শীর্ষনেতা হিসেবে শুধু বাইডেন উপস্থিত থাকবেন। ভেটো ক্ষমতার অধিকারী অন্য দেশ চীন, রাশিয়া, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী এবারের সাধারণ অধিবেশনে উপস্থিত নাও থাকতে পারেন।

উচ্চ পর্যায়ের সপ্তাহে উপস্থিত থাকতে পারে। এবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না ঋষি সুনাক। তিনি বলেছেন, ব্যস্ত সূচির কারণে তিনি নিউইয়র্ক যেতে পারছেন না। সূচির কথা উল্লেখ করে অনুপস্থিত থাকবেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। অধিবেশনে চীনের প্রতিনিধিত্ব কে করবেন তা স্পষ্ট নয়। সেপ্টেম্বরের শুরুতে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ি এর পরিবর্তে ভাইস প্রেসিডেন্ট হান ঝেংকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হতে পারে।

সর্বশেষ খবর