বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
চীনের প্রেসিডেন্টকে ‘স্বৈরাচার’ মন্তব্য

জার্মানির ওপর চটেছে চীন

চীনের প্রেসিডেন্টকে ‘স্বৈরাচার’ হিসেবে বর্ণনা করায় জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেয়ারবকের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছে চীন। বেইজিংয়ে জার্মান রাষ্ট্রদূতকে তলব করে ক্ষোভ জানানো হয়েছে।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে দেশটির গণমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শি জিন পিংকে স্বৈরশাসক বলে আখ্যায়িত করেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালেনা বেয়ারবক। আর এতেই ক্ষুব্ধ হয়েছে চীন।

তিনি বলেন, শি জিন পিংয়ের নেতৃত্বে চীনের অনেক আচরণ পশ্চিমা বিশ্বে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে আসছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পারস্পরিক নির্ভরতায় এখনো বড় কোনো পরিবর্তন না ঘটলেও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক যথেষ্ট শীতল রয়েছে।

সাক্ষাৎকারে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে তাকে একটি প্রশ্ন করা হলে এর জবাবে তিনি বলেন, পুতিন যদি এ যুদ্ধে জিতেন তাহলে বিশ্বের অন্য স্বৈরশাসক যেমন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের কাছে তা কী সংকেত পাঠাবে! সরাসরি এভাবে চীনা প্রেসিডেন্টকে স্বৈরশাসক বলায় জার্মান রাষ্ট্রদূত প্যাট্রিসিয়া ফ্লোরকে ডেকে এনে চরম প্রতিবাদ জানিয়েছে বেইজিং। জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিষয়টি সিএনএনের কাছে নিশ্চিত করেছেন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়ে দিয়েছে, জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ওই মন্তব্য নিয়ে তারা ‘ভয়াবহ অসন্তুষ্ট’। সোমবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, জার্মানির করা মন্তব্য অত্যন্ত অযৌক্তিক। এ মন্তব্য চীনের রাজনৈতিক মর্যাদাকে মারাত্মকভাবে লঙ্ঘন করে এবং এটি একটি প্রকাশ্য রাজনৈতিক উস্কানি।

শি জিন পিংয়ের নেতৃত্বে চীনের অনেক আচরণ পশ্চিমা বিশ্বে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে আসছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পারস্পরিক নির্ভরতায় এখনো বড় কোনো পরিবর্তন না ঘটলেও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক যথেষ্ট শীতল রয়েছে।

চীনের সঙ্গে জার্মানির রাজনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রতি কিছুটা শীতল হয়ে পড়ছে। চলতি বছরের জুলাই মাসে জার্মান সরকার প্রথমবারের মতো চীনের প্রতি কৌশলগত অবস্থান-সংক্রান্ত এক নথি প্রকাশ করেছে। তাতে চীনের ওপর নির্ভরতা কমানোর ডাক দেওয়া হয়েছে। তবে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন না করে বরং ঝুঁকি এড়ানোর প্রতি জোর দেওয়া হয়। নিজস্ব মূল্যবোধ ও স্বার্থ ক্ষুণ্ন না করে চীনের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির কথাও বলা হয়েছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জার্মানির এমন অবস্থানের সমালোচনা করেছিল। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও শি জিন পিংকে স্বৈরশাসক বলে বর্ণনা করেছিলেন। সে সময়ও কঠিন প্রতিবাদ জানিয়ে বেইজিং বলে, বাইডেনের এমন বক্তব্য গুরুতর কূটনৈতিক শিষ্টাচারের লঙ্ঘন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর