শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

রুশ নৌ সদরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ক্রিমিয়ার সেভাস্তপোলে অবস্থিত রাশিয়ার নৌবাহিনীর সদর দফতরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত একজন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এদিকে, এ হামলার দায় স্বীকার করেছে ইউক্রেন।

ব্যবহারিক এবং প্রতীকী উভয় কারণেই রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর সদর দফতর ইউক্রেনের প্রধান লক্ষ্য। রাশিয়া কৃষ্ণসাগরে তার নৌজাহাজ থেকে ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যার ফলে ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে। তারা কৃষ্ণসাগরে সামুদ্রিক শিপিং রুটগুলো অবরুদ্ধ করার হুমকিও দিয়েছে, যা ইউক্রেন শস্য রপ্তানি করতে ব্যবহার করছে। ঘটনার পরপরই রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, হামলার পর একজন সেনা সদস্য নিখোঁজ রয়েছেন। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে।

ক্রিমিয়ার বৃহত্তম শহর সেভাস্তপোলের গভর্নর মিখাইল রাজভোজায়েভ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেছেন, শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্র নৌবহরের সদর দফতরে আঘাত হেনেছে। ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরাগুলো একটি থিয়েটারের কাছে পড়ে রয়েছে উল্লেখ করে স্থানীয় বাসিন্দাদের সেখান থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান তিনি।

কৃষ্ণসাগরের নৌবহরটিও এ অঞ্চলে রাশিয়ার শতাব্দী প্রাচীন সামরিক উপস্থিতির একটি প্রধান প্রতীক। রাশিয়া বারবার ক্রিমিয়ায় নৌবহরের উপস্থিতি ব্যবহার করেছে ইউক্রেনীয় উপদ্বীপে তার দাবির ন্যায্যতা প্রমাণ করতে এবং ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, পশ্চিমাদের হাতে পড়া ঠেকাতে ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখল করেছিল রাশিয়া।

এ ধরনের দাবি সত্ত্বেও রাশিয়ার এ নৌবহর এবং এর সদর দফতর তখন বাস্তবসম্মত হুমকির সম্মুখীন হয়নি। কিন্তু এখন, পুতিনের ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ প্রায় এক বছর সাত মাস পরে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী দখলকৃত ক্রিমিয়ায় রাশিয়ান সামরিক বাহিনীর কেন্দ্রস্থলে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে।

উত্তর আমেরিকার সমর্থন ধরে রাখতে মরিয়া জেলেনস্কি : বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ রাশিয়ার সঙ্গে প্রায় ১৯ মাস ধরে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এ ক্ষেত্রে ইউক্রেনকে আর্থিক ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করে আসছে পশ্চিমা বিশ্ব। কিন্তু সম্প্রতি সেই লাগাতার সহায়তায় কিছু ফাটল দেখা যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। এ সফরে তিনি কানাডাতেও গেলেন। তার এ দুই সফর থেকে তিনি আমেরিকা ও কানাডা থেকে যতটা সম্ভব সহায়তার প্রতিশ্রুতি আদায় করতে চাইছেন। এতে কিছুটা সফলও হলেন। জেলেনস্কির ওয়াশিংটন সফর উপলক্ষে মার্কিন প্রশাসন প্রায় ৩২ কোটি ৫০ লাখ ডলার অঙ্কের নতুন সামরিক সহায়তার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। যদিও ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের কাজ থেকে আরও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম পেতে চাইছেন। তবে সে দেশ এটিওসিএমএস মিসাইল চাইলেও ওয়াশিংটন আরও সময় চাইছে। মোটকথা রাশিয়ার হামলা প্রতিহত করতে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহে আপত্তি না থাকলেও রাশিয়ার ওপর সক্রিয় হামলার জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্রের প্রশ্নে আরও সতর্কতা অবলম্বন করে চলেছে আমেরিকাসহ পশ্চিমা বিশ্ব।

সর্বশেষ খবর