রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইউক্রেনকে এবার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ইউক্রেনকে এবার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ইউক্রেনকে এবার উন্নত প্রযুক্তির দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর ফলে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেনের অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে। মার্কিন গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এ বিষয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত কয়েক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, ইউক্রেনকে এটিএসিএমএস (আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম) ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়া হবে। দূরপাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র ১৯০ মাইলের (৩০০ কিলোমিটার) মধ্যে হামলা চালাতে সক্ষম।

সম্মুখ যুদ্ধে এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার বিভিন্ন লক্ষ্যে আরও নিখুঁতভাবে হামলা চালাতে সক্ষম হবে কিয়েভ। এদিকে গত শুক্রবার রাশিয়ার নৌবাহিনীর সদর দফতরে ইউক্রেনের একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। ওই হামলার পরপরই রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, হামলার পর এক সেনা নিখোঁজ রয়েছেন। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে। ক্রিমিয়ার বৃহত্তম শহর সেভাস্তপোলের গভর্নর মিখাইল রাজভোজায়েভ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্র নৌবহরের সদর দফতরে আঘাত হেনেছে। ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরোগুলো একটি থিয়েটারের কাছে পড়ে রয়েছে উল্লেখ করে স্থানীয় বাসিন্দাদের সেখান থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান তিনি। এ ছাড়া শহরের বাসিন্দাদের বাড়ির ভিতরে থাকার জন্যও অনুরোধ জানান গভর্নর। পাশাপাশি নৌ সদর দফতরের কাছে থাকা মানুষদের সাইরেনের শব্দ শুনলেই আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর একটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, সেভাস্তোপোল বন্দরে স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। ইউক্রেনকে ব্রিটেন এবং ফ্রান্স এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে। এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ১৫০ মাইলের মধ্যে আঘাত হানতে সক্ষম। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তার দেশকে বেশকিছু এটিএসিএমএস (আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম) ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করা হবে। কয়েক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এনবিসি নিউজ এবং দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। ২১ সেপ্টেম্বর এ দুই নেতার মধ্যে সাক্ষাৎ হয়। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এ অস্ত্রগুলো সরবরাহ করা হবে।

এদিকে হারানো বাখমুত শহর পুনরুদ্ধারে রাশিয়ার ফ্রন্টলাইনকে ‘নরকে’ পরিণত করেছে ইউক্রেনীয় যোদ্ধারা। পশ্চিমাদের কাছ থেকে যত অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাচ্ছে, রুশ বাহিনীর স্থাপনায় হামলা ততই বাড়ছে। মে মাস থেকে অস্থায়ীভাবে রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে বাখমুত।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে সেখানকার এক ইউক্রেনীয় কমান্ডার বলেন, গত সপ্তাহে ক্লিশচিভকার প্রধান গ্রামটি দখলে নেওয়ার পর উচ্ছ্বসিত ইউক্রেনীয় সেনারা। তারা যুক্তরাষ্ট্রের ১৫৫ মিলিমিটার হাউইটজারের ব্যাপক প্রশাংসা করেছে। ইউনিট কমান্ডার ওলেক্সান্ডার বলেন, ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী পোল্যান্ডের তৈরি ক্র‌্যাব বন্দুক ও মার্কিন ‘এম-১০৯’ স্ব-চালিত হাউইটজারসহ ভারী কামানের ওপর অনেকটা নির্ভর। বিবিসি

সর্বশেষ খবর