সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

আগেই তথ্য পেয়েছিল কানাডা

ফাইভ আইজ হচ্ছে একটি বৈশ্বিক গোয়েন্দা সংস্থা। এর সদস্য দেশ পাঁচটি, কানাডা, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড

আগেই তথ্য পেয়েছিল কানাডা

হরদীপ সিং হত্যাকান্ড

শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকান্ডের বিষয়ে কানাডা আগেই তথ্য পেয়েছিল। আর এ তথ্য অটোয়াকে দিয়েছিল বৈশ্বিক গোয়েন্দা সংস্থা ফাইভ আইজ। সেই সূত্রের ওপর ভিত্তি করেই ভারতের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুুডো। চাঞ্চল্যকর এ দাবি করেছেন কানাডায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড কোহেন।

এদিকে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, যদিও আসল তথ্য সংগ্রহের কাজটি কানাডার গোয়েন্দারাই করেছে, তবে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া তথ্য থেকেই ভারতের জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে কানাডা। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এ হত্যাকান্ডের তদন্তে কানাডাকে সহায়তা করতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এ ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সংঘাত এড়ানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। কিন্তু এ হত্যাকান্ডের জন্য ভারতকে দায়ী করার পেছনে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যের বড় ভূমিকা থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসায় কানাডা-ভারত কূটনৈতিক দ্বন্দ্বে এখন যুক্তরাষ্ট্রও আটকে গেছে।

নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে ভারত সরকারের জড়িত থাকার বিষয়টি ওয়াশিংটনের কর্মকর্তাদের হতবাক করেছে। যদিও গণতান্ত্রিক দেশগুলো প্রায়ই অন্য দেশে গুপ্তহত্যা পরিচালনা করে। কিন্তু অন্য কোনো গণতান্ত্রিক দেশের মধ্যে এ ধরনের হত্যাকান্ড বেশ অস্বাভাবিক।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং কানাডার কর্মকর্তারা ভারত সম্পর্কে কানাডার সংগ্রহ করা গোয়েন্দা তথ্য প্রকাশ করতে অস্বীকার করেছেন। তবে কানাডার একজন সরকারি কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান যে, সরকার একাধিক দেশ থেকে গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছে। কানাডিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশন এর আগে জানিয়েছিল- কানাডা সরকার কানাডায় ভারতীয় কূটনীতিকদের বার্তা ইন্টারসেপ্ট করছে।

ফাইভ আইজ হচ্ছে একটি বৈশ্বিক গোয়েন্দা সংস্থা। এ ইন্টারন্যাশনাল ইনটেলিজেন্সের সদস্য দেশ পাঁচটি। এতে কানাডা ছাড়াও রয়েছে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। গোটা বিশ্বে ঘটে চলা নানা রাজনৈতিক, কূটনৈতিক, সামরিক ও চরবৃত্তির ওপর এ দেশগুলো একসঙ্গে নজর রাখে। পঞ্চ চক্র হিসেবেও পরিচিত এ গোয়েন্দা সংস্থা।

কয়েক দিন আগেই কানাডার একটি সংবাদ মাধ্যম জানায়, হরদীপ সিং খুনের তদন্তে কানাডাকে সাহায্য করেছিল আরও চারটি দেশ। অর্থাৎ এ ফাইভ আইজ গোয়েন্দা সংস্থা দেশটিকে তথ্য দিয়েছে।

এরপর সংবাদমাধ্যমের এ দাবির বিষয়টি নিশ্চিত করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ফাইভ আইজের তথ্যের ভিত্তিতেই ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। তবে ওয়াশিংটন পোস্টের একটি খবর একেবারে উড়িয়ে দিয়েছেন কোহেন। ওই খবরে বলা হয়েছিল, কানাডা চায় আমেরিকা ও অন্যান্য বন্ধু দেশগুলো যেন প্রকাশ্যে ভারতের নিন্দা করে। এপি, পিটিআই

সর্বশেষ খবর