মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

নাইজার থেকে রাষ্ট্রদূত ও সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা ফ্রান্সের

অঞ্চলটিতে দীর্ঘদিন জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সেনা মোতায়েন রেখেছিল ফ্রান্স

আফ্রিকার দেশ নাইজার থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। একই সঙ্গে তিনি জানান, নাইজার থেকে ফরাসি সেনাদের প্রত্যাহারও করা হবে। এটা কয়েক মাসের মধ্যেই করা হবে। নাইজারের সেনা নেতৃত্ব ফ্রান্সের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। রবিবার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই রবিবার আমরা নাইজারের সার্বভৌমত্বের একটি নতুন পদক্ষেপ উদযাপন করছি।’

ফরাসি টেলিভিশনকে রবিবার দেওয়া সাক্ষাৎকারে ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফ্রান্স। পরবর্তী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আমাদের রাষ্ট্রদূত ও কয়েকজন কূটনীতিক দেশে ফিরে আসবেন।’ তবে কীভাবে তাঁদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে, সে ব্যাপারে বিস্তারিত উল্লেখ করেননি ম্যাক্রোঁ। ফরাসি প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, নাইজারকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রেও সমাপ্তি টানা হচ্ছে। গত জুলাইয়ে অভ্যুত্থানের পর আন্দোলনের মুখে অনেকটা চাপে পড়ে রাষ্ট্রদূত ও সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ফ্রান্স তার রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অবিলম্বে আমাদের রাষ্ট্রদূত ও কয়েকজন কূটনীতিক দেশে ফিরে আসবেন। সেনারা বছরের শেষ নাগাদ প্রত্যাহার হবে। অঞ্চলটিতে দীর্ঘদিন জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহযোগিতা ও সেনা মোতায়েন রেখেছিল ফ্রান্স। কিন্তু স্থানীয় অনেকেই চান সাবেক উপনিবেশিক শাসকরা তাদের দেশে হস্তক্ষেপ বন্ধ করুক।

গত ২৬ জুলাই দেশটির প্রেসিডেন্ট বাজুম ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর নাইজারের সামরিক নেতারা ফরাসি রাষ্ট্রদূত সিলভাইন ইত্তেকে তাঁদের দেশ ছাড়তে বলেছিলেন। গত আগস্টে সিলভাইনকে দেশ ছাড়ার জন্য ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। তবে ফ্রান্স সরকার তা মানতে অস্বীকৃতি জানায়। নাইজারের সেনা সরকারকেও বৈধ সরকারের স্বীকৃতি দেয়নি তারা। দেশটির সাধারণ মানুষ ফ্রান্সের দূতাবাসে হামলা চালায় এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমর্থনে স্লোগানও দেয়।

সর্বশেষ খবর