শিরোনাম
বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

কানাডায় পড়তে যাওয়া নিয়ে শঙ্কায় পাঞ্জাবের মানুষ

পাঞ্জাবে শিখদের অনেকে মনে করছেন, সম্পর্ক তিক্ত হওয়ার ধাক্কা তাদের ওপরই এসে পড়বে। তা ছাড়া শিক্ষা ও উন্নত জীবনের খোঁজে কানাডায় যাওয়াও তাদের বন্ধ হয়ে যাবে। এই ধারণা পাঞ্জাবের শিখ যুবকদের। খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকে কেন্দ্র করে ভারত ও কানাডার সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর অভিযোগ, এই হত্যার সঙ্গে ভারত জড়িত। ভারত তা অস্বীকার করেছে। হরদীপ বছর ২৫ আগে পাঞ্জাবের ভরসিংপুরা থেকে কানাডায় যান ও সেখানকার নাগরিক হন। সেই গ্রামে তার খামারে ট্রাক্টরের পাশে কাঠের বেঞ্চে বসে তার কাকা ৭৯ বছর বয়সী হিম্মত সিং নিজ্জর জানিয়েছেন, স্থানীয় মানুষ মনে করেন, ট্রুডো খুব সাহসের কাজ করেছেন। সাধারণ মানুষের জন্য তিনি বিশাল একটা ঝুঁকি নিয়েছেন। হিম্মত জানিয়েছেন, ‘এখানকার প্রায় প্রতিটি পরিবারই তাদের সন্তানদের কানাডা পাঠাতে চায়। এখন চাষের অবস্থা খারাপ।’ কানাডায় এখন তিন লাখ ২০ হাজার ভারতীয় পড়ুয়া আছে।

অটোয়া শিখদের বিক্ষোভ : কানাডার রাজধানীতে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে নিজ্জর হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন কানাডিয়ান শিখরা। সোমবার প্রায় ১০০ বিক্ষোভকারী ভারতের পতাকা পুড়িয়ে প্রতিবাদ করেন।

সেখানে কথিত স্বাধীন খালিস্তানের হলুদ পতাকা উড়িয়েছেন তারা।

কানাডা ও ভারতের কূটনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে এই বিক্ষোভ করা হলো। টরন্টোর শিখ সম্প্রদায়ের জো হোথা বলেন, আমরা ভারতে ফিরে গেলেও নিরাপদ না। আবার কানাডাতেও নিরাপদ না।

টরন্টোতে ভারতের দূতাবাসের সামনে থেকে শিখ সম্প্রদায়ের সদস্য রেশমা সিং বোলিনাস বলেন, আমরা কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর প্রতি কৃতজ্ঞ। ভবিষ্যতে নিরপরাধ মানুষদের হত্যা বন্ধ করতে ভারতের ওপর চাপ অব্যাহত রাখা উচিত।

সর্বশেষ খবর