এক সপ্তাহ ধরে যুদ্ধ চলছে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে। কিন্তু এত দিনেও কোনোরকম সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের। তার কোনো বিবৃতিই পাওয়া যায়নি। একটি কথাও আসেনি মিডিয়ায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার অফিস বিবৃতি দিয়েছে। তাতে উভয় পক্ষে বেসামরিক মানুষকে হত্যা ও তাদের ওপর নির্যাতনের যে চর্চা হচ্ছে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ব্যাপক আগ্রাসন অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতের পর তার অফিস থেকে এ কথা জানানো হয়েছে। অথচ গত সপ্তাহে ইসরায়েলি নৃশংসতায় সারা বিশ্ব উদ্বিগ্ন। সমালোচকরা বলছেন, নিজের দেশের জনগণের বিরুদ্ধে বোমা হামলা চালিয়ে গাজা উপত্যকাকে নির্জন দ্বীপে পরিণত করে দেওয়ার হুংকার দিয়ে এক মৃত্যু উপত্যকা বানিয়ে ফেলার পর অবশেষে চেতনা ফিরেছে মাহমুদ আব্বাসের। তার দেশের বিরুদ্ধে এই হামলায় মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ বিবৃতি দিয়েছে। অনলাইন আরব নিউজ বলেছে, মাহমুদ আব্বাস ও বাদশাহ আবদুল্লাহর মধ্যে সাক্ষাৎ হয় আম্মানে। তারা ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনা করেন গাজায় সাহায্য সহযোগিতা পাঠানোর বিষয় নিয়ে। মাহমুদ আব্বাস বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী এবং ফিলিস্তিনের হামাসের দ্বারা বেসামরিক নাগরিকদের টার্গেট করা নৈতিকতা, ধর্মীয় ও আন্তর্জাতিক আইনবিরুদ্ধ।

 তিনি জোর দিয়ে বলেন, ফিলিস্তিনিরা সহিংসতার নিন্দা জানায়। আন্তর্জাতিক বৈধতার নীতি অনুসরণ করে। শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধ করে। জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় গাজা উপত্যকায় একমাত্র বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয়াবহতার বিষয়ে সতর্ক করেন তিনি। বিদ্যুৎ, পানি ও জরুরি মানবিক করিডর খুলে দেওয়ার আহ্বান জানান আব্বাস।