মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

গাজায় ত্রাণের দ্বিতীয় বহর পৌঁছেছে

গাজায় ত্রাণের দ্বিতীয় বহর পৌঁছেছে

গাজা উপত্যকায় টানা ১৭ দিন ধরে বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। এ হামলায় এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৬০০ মানুষ নিহত হয়েছেন বলে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এ অমানবিক হামলার মধ্যে দ্বিতীয় দফায় ত্রাণবাহী ১৪টি ট্রাকের একটি বহর গাজায় প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনা করার পর জানিয়েছেন, তারা দুজনই ফিলিস্তিনিদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ত্রাণ সরবরাহ চলমান থাকার বিষয়ে একমত হয়েছেন।

তবে অক্সফামের মানবিক সহায়তাবিষয়ক প্রধান ম্যাগনাস করফিক্সেন বিবিসিকে বলেন, প্রতিদিন কয়েকটি ট্রাককে ঢুকতে দেওয়া মোটেও পর্যাপ্ত নয়। একই সঙ্গে গাজায় বিভিন্ন সাহায্য সংস্থাকে অবাধ প্রবেশাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তিনি। এদিকে ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইতামার বেন-গিভির বলেন, হামাস যদি তাদের হাতে আটক সব জিম্মিদের মুক্তি দিতে রাজি না হয়, তাহলে ওই এলাকায় ‘ত্রাণ সরবরাহ চলমান’ রাখার কোনো গ্যারান্টি বা নিশ্চয়তা দেওয়া যাবে না।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা লেবাননে হিজবুল্লাহর দুটি দলকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে। তারা ইসরায়েলের ভিতরে ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এবং রকেট ছোড়ার পরিকল্পনা করছিল বলে দাবি করা হয়েছে।

এদিকে গাজা থেকে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে লন্ডনের ট্রাফালগার স্কয়ারে শত শত মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছে। তারা জিম্মিদের ছবি বহন করছিলেন এবং পার্লামেন্ট সদস্য এবং ইহুদি সম্প্রদায়ের নেতাদের বক্তব্য শোনেন।

গাজার হাসপাতালের কাছে বিস্ফোরণ : গত কয়েক ঘণ্টায় গাজার বেশ কয়েকটি হাসপাতালের কাছে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। কিন্তু কোনো হতাহত হয়েছে কি না সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। রয়টার্স জানায়, যেসব হাসপাতালের পাশে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে সেগুলো হচ্ছে, আল-শিফা, এটা গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল। এ ছাড়াও রয়েছে আল-কুদস এবং ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতাল।

গাজায় সামরিক অভিযান মাসের পর মাস ধরে চলতে পারে-ইসরায়েল : ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্ট বলেছেন, গাজায় চলমান সামরিক অভিযান শেষ হতে ‘এক মাস, দুই কিংবা তিন মাস লাগতে পারে, কিন্তু এটি শেষ হওয়ার পর হামাস বলতে কিছু থাকবে না।’ ইসরায়েলের বিমান বাহিনীর অপারেশন্স কমান্ড এবং কন্ট্রোল সেন্টারে হামলা পরিচালনা বিষয়ে ব্রিফিংয়ের পর এ কথা বলেন তিনি।

যা বলছেন বিশ্বনেতারা : রবিবার যুক্তরাষ্ট্র,  যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি এবং ইতালির নেতারা ইসরায়েল-গাজা সংঘাত এবং গাজা উপত্যকায় মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। হোয়াইট হাউস থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এবং অন্য নেতারা ফোনালাপের মাধ্যমে ‘ইসরায়েলের প্রতি তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং তার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে নিজের প্রতিরক্ষার অধিকারের প্রতি   সমর্থনও জানিয়েছেন’। একই সঙ্গে ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলা এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করারও’ আহ্বান জানিয়েছেন তারা। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দুজন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার ঘটনাকে তারা স্বাগত জানিয়েছেন এবং বাকি সব জিম্মিকে তাৎক্ষণিকভাবে মুক্তি দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন।’

 

 

সর্বশেষ খবর