শনিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

৯ মাসে এত বাস্তুচ্যুত দেখেনি বিশ্ব

বিশ্বে হঠাৎ যুদ্ধের প্রভাব বেড়ে গেছে। সঙ্গে বেড়েছে জীবনযাত্রার ব্যয়। ফলে বিশ্বব্যাপী বেড়েছে বাড়িহীন মানুষ বা বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা। তবে চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে যে পরিমাণ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে তা এর আগে দেখেনি বিশ্ব। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা বিশ্বে যুদ্ধ-সংঘাতের ফলে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৪০ লাখে। এ তথ্য প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর। এক বিবৃতিতে ইউএনএইচসিআর বলেছে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে বাস্তুচ্যুতির অন্যতম কারণ ছিল ইউক্রেন, সুদান, মিয়ানমার ও কঙ্গোর সংঘাত, আফগানিস্তানে দীর্ঘায়িত মানবিক সংকট এবং সোমালিয়ার খরা, বন্যা ও নিরাপত্তাহীনতা।

বিশ্ববাসীর মনোযোগ এখন গাজার মানবিক বিপর্যয়ের দিকে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্দি। কিন্তু গাজা ছাড়াও বিশ্বব্যাপী সংঘাতে বিপর্যয়ের  মুখে পড়েছে আরও লাখ লাখ      সাধারণ মানুষ।

এ বাস্তুচ্যুতি রোধ করতে না পারার অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অক্ষমতা। গ্রান্দি মনে করেন, শরণার্থী ও বাস্তুচ্যুতদের দেশে ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়গুলোর ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ শুরু করা দরকার। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসের পরিস্থিতি পর্যালোচনায় ইউএনএইচসিআর দেখতে পেয়েছে, জুন মাস নাগাদ বিশ্বজুড়ে ১১ কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

২০২২ সাল শেষে সংখ্যাটি ছিল ৯ কোটি ৪০ লাখ। অর্থাৎ চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ। একই সময়ে আবার ৪ লাখ ৪ হাজার শরণার্থী বাড়ি ফিরে গেছেন। যা ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। সংস্থাটির প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, বাস্তুচ্যুত হওয়া লোকদের অর্ধেকেরও বেশি কখনো আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে না। চলতি বছরের জুন থেকে সেপ্টেম্বর এ তিন মাসে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হওয়ার সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৪০ লাখ যা সেপ্টেম্বরে ১১ কোটি ৪০ লাখে দাঁড়িয়েছে।

সর্বশেষ খবর