রবিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইসরায়েলে কর্মরত হাজারো ফিলিস্তিনি শ্রমিক নিখোঁজ

ইসরায়েলে নিযুক্ত গাজার হাজার হাজার শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা ও ট্রেড ইউনিয়নগুলো। গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধের পর থেকে তারা নিখোঁজ রয়েছেন। গতকাল এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে গণমাধ্যম আলজাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ধারণা, যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েলে কর্মরত কিছু শ্রমিককে অধিকৃত পশ্চিম তীরে সামরিক স্থাপনায় অবৈধভাবে আটক করা হয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত যাদেরকে আটকে রেখেছে তাদের নাম প্রকাশ করতে অস্বীকার করেছে ইসরায়েলের কর্তৃপক্ষ।

গত ৭ অক্টোবরের হামাসের হামলা শুরুর আগ পর্যন্ত গাজার প্রায় সাড়ে আঠারো হাজার বাসিন্দা অবরুদ্ধ গাজা স্ট্রিপের বাইরে কাজ করার অনুমতি নিয়েছিলেন। তবে দুই পক্ষের যুদ্ধ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইসরায়েলে উপস্থিত শ্রমিকদের সঠিক সংখ্যা অজানা রয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে হাজার হাজার শ্রমিককে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আটক করে অজ্ঞাত স্থানে স্থানান্তরিত করেছে।

 হ্যামোকেডের নির্বাহী পরিচালক জেসিকা মন্টেল আলজাজিরাকে বলেন, ‘আমরা ৭ অক্টোবরের হামলার আগে ইসরায়েলে কর্মরত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে শত শত ফোন পাচ্ছি। মন্টেল বলেন, এখন পর্যন্ত ৪০০ জনেরও বেশি নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবার এবং বন্ধুরা তার সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, তাদের প্রিয়জনকে খুঁজে বের করার জন্য। এ ছাড়া প্রিয়জনকে খোঁজার পাশাপাশি একই সঙ্গে ইসরায়েলের বোমা হামলা এবং সম্পূর্ণ অবরোধ থেকে বাঁচতে লড়াই করছে তারা। মন্টেলের সংস্থা হ্যামোকড ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছে সেদেশে থাকা বন্দিদের খোঁজখবর ও কোথায় রাখা হয়েছে এসব নিয়ে কাজ করে থাকে। মন্টেল জানান, ‘ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের জানাতে হবে যে তারা কাকে আটকে রেখেছে, কোনো স্থানে তাদের আটকে রাখা হয়েছে। কিন্তু গাজার শ্রমিকদের সম্পর্কে জানায় যে এসব সঠিক নয়। মন্টেল জানান, গাজার শ্রমিকদের কোথায় রাখা হচ্ছে, কতজনকে রাখা হচ্ছে, কোন শর্তে, কোন আইনি মর্যাদায় রাখা হচ্ছে তা স্পষ্ট করতে চাচ্ছে না ইসরায়েল। এ বিষয়ে আলজাজিরা ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এবং যে সংস্থাটি দখলকৃত অঞ্চলগুলোতে পারমিট সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ করে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও উভয়ই মন্তব্য করতে বা আরও তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানায়।

সর্বশেষ খবর