শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ফিলিস্তিনি শরণার্থীর প্রথম বহর মিসর পৌঁছেছে

রাফাহ ক্রসিং দিয়ে বিদেশি নাগরিক এবং গুরুতর অসুস্থ ফিলিস্তিনিদের মিসরে প্রবেশ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এর আগে এ ক্রসিং দিয়ে খাবার ও সাহায্য বহনকারী ট্রাক ঢুকতে দেওয়া হলেও বিদেশি নাগরিকদের এবারই গাজা ত্যাগের সুযোগ দেওয়া হলো। গাজায় এ সপ্তাহে দ্বিতীয়বারের মতো ফোন ও ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। ফোন ও ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী সংস্থা প্যালটেল জানিয়েছে, ‘এটি পুরোপুরি বন্ধ’ করে দেওয়া হয়েছে।গাজার ভিতরে স্থল অভিযান চালানোর সময় মঙ্গলবার ইসরায়েলের ১১ সেনা নিহত হয়েছে বলে আইডিএফ জানিয়েছে। ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত সংঘর্ষে ইসরায়েলের মোট ৩২৬ সেনন নিহত হয়েছে বলে দেশটি জানিয়েছে। গত কয়েকদিনের মতো গাজার বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফ নিশ্চিত করেছে, তারা গাজার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়ায় হামলা চালিয়েছে। ওই হামলায় হামাসের একজন সিনিয়র কমান্ডারকে হত্যা করা হয়েছে এবং হামাসের মাটির নিচে থাকা অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে আইডিএফ দাবি করেছে। তবে ইসরায়েলি হামলায় অনেক মানুষ হতাহত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সেখানে বেশ কয়েকটি ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং একজন হাসপাতাল পরিচালক বলেছেন, এ হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে। বিভিন্ন ছবিতে দেখা যায়, হামলাস্থলে বড় গর্ত তৈরি হয়েছে এবং সেখানকার ভবন মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। কায়রোয় বিবিসির প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, বুধবার পৌঁছানো প্রথম বহরে অন্তত সাতজন রোগী মিসর এসেছেন। আরও অ্যাম্বুলেন্স আসছে। এদিন ৮৮ জন আহত ফিলিস্তিনিকে মিসরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলেও ধারণা প্রকাশ করেছেন বিবিসির প্রতিনিধিরা। তবে বিষয়টি এখনো তারা নিশ্চিত হতে পারেননি। আহতদের সঙ্গে প্রায় ৫০০ দ্বৈত নাগরিককে এদিন রাফাহ ক্রসিং পার হওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে বলেও জানা গেছে। কাতারের মধ্যস্থতায় রাফাহ ক্রসিং দিয়ে গাজায় আহত ফিলিস্তিনি এবং দ্বৈত নাগরিকদের মিসরে যাওয়ার অনুমতি মিলেছে বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

পরিবারের ১৯ সদস্যকে হারালেন আলজাজিরার প্রকৌশলী : বিমান থেকে ইসরায়েলের নির্বিচার বোমা হামলায় পরিবারের ১৯ সদস্যকে হারিয়েছেন গাজায় আলজাজিরার ব্যুরোর সম্প্রচার প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু আল-কুমসান। ২৫ অক্টোবর ইসরায়েলি হামলায় গাজায় আলজাজিরার আরবি বিভাগের সাংবাদিক ওয়ায়েল আল-দাহদু পরিবারের ১২ সদস্য নিহতের পরের সপ্তাহে এ ঘটনা ঘটল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির জাবালিয়া রিফিউজি ক্যাম্পে মঙ্গলবার ইসরায়েল বাহিনী বিমান থেকে বোমা হামলা চালায়। এতে বাবা, দুই বোনসহ পরিবারের ১৯ সদস্যকে হারিয়েছেন আবু আল-কুমসান। মঙ্গলবার এ হামলার নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে আলজাজিরা। এতে এ বোমা হামলাকে ক্ষমার অযোগ্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, শরণার্থী শিবিরে হামলায় আবু আল-কুমসানের বাবা, দুই বোন, আট ভাগনে-ভাগনি, ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী, তাদের চার সন্তান, ভগ্নিপতি ও চাচা নিহত হয়েছেন। এদিকে যুদ্ধবিমান থেকে জাবালিয়ায় হামলা চালানোর কথা স্বীকার করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী (ইডিএফ) দাবি করেছে, এ হামলায় একজন শীর্ষ হামাস কমান্ডার নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া হামাসের মাটির নিচে থাকা অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর