ইসরায়েলকে এবার সর্বোচ্চ সামরিক সহযোগিতার হাত বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের মধ্যপ্রাচ্য সফরের মধ্যেই এবার ভূমধ্যসাগরে পরমাণু অস্ত্রবাহী সাবমেরিন মোতায়েন করেছে মার্কিন সেনাবাহিনী। ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্রের দৃঢ় অঙ্গীকার রক্ষায় দুটি রণতরীর পর এবার সাবমেরিন পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। বিশ্লেষকরা বলছেন, তেলআবিবকে সমর্থনের পাশাপাশি ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলায় উদ্বিগ্ন হয়েই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সাবমেরিনে থাকা ক্ষেপণাস্ত্রের বিশেষত্ব হলো এগুলো সঠিক নিশানায় আঘাত হানতে অত্যন্ত কার্যকর। একই সঙ্গে এসব ক্ষেপণাস্ত্রে পারমাণবিক অস্ত্রযুক্ত করেও নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো যায়। মার্কিন নৌবাহিনী রবিবার মধ্যপ্রাচ্যে সাবমেরিন পাঠানোর কথা ঘোষণা দিয়ে জানায়। যুক্তরাষ্ট্রকে সাধারণত এভাবে ঘোষণা দিয়ে সাবমেরিনের অবস্থান জানানোর কথা বলতে দেখা যায় না। সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ পুরো মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে নিজেদের সামরিক সক্ষমতা দেখাতে যুক্তরাষ্ট্র এ পদক্ষেপ নিয়েছে। সৌদি আরবে পাঠিয়েছে টার্মিনাল হাই অ্যালটিটিউড এরিয়া ডিফেন্স (থাড) নামে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। এ ছাড়া কুয়েত, জর্দান, ইরাক, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতেও ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা পাঠানো হয়েছে।