বুধবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

শিশুদের কবরস্থানে পরিণত হচ্ছে গাজা

গাজা উপত্যাকায় এক মাস ধরে লাগাতার বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এ সময়ে অন্তত ১০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এর মধ্যে শিশু প্রায় অর্ধেক। সোমবারও হামলায় কমপক্ষে ২০০ বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন।

এ ঘটনায় জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেছেন, ইসরায়েলের হামলা জোরদার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গাজা শিশুদের কবরস্থানে পরিণত হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রতি ঘণ্টা পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ‘মানবিক অস্ত্রবিরতির’ প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি বাড়ছে। এর আগে এক যৌথ বিবৃতিতে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো বলে, গাজা এবং ইসরায়েলে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যাকান্ড ভয়াবহ। তিনি আরও মন্তব্য করেন, এটি একটি সার্বিক মানবিক সংকটে পরিণত হয়েছে। গোটা বিশ্বের উচিত এ পরিস্থিতি থামানোর জন্য আবেদন করা। এর আগে গাজার কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, উপত্যকাটিতে প্রতি ঘণ্টায় গড়ে ছয় শিশু ও পাঁচ নারী নিহত হচ্ছেন এবং গাজার জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশ ইসরায়েলি বোমা হামলা ও আক্রমণে বাধ্য হয়ে বাড়ি ছেড়েছেন।

এদিকে লেবানন সীমান্তেও লড়াই শুরু হয়েছে। ইসরায়েলের সেনা লেবানন সীমান্তেও সোমবার আক্রমণ চালিয়েছে বলে হিজবুল্লাহর তরফে জানানো হয়েছে। দক্ষিণ লেবাননে একটি গাড়িতে বোমা মারা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় চারজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে লেবাননের প্রশাসন জানিয়েছে।

এদিকে সংবাদমাধ্যম এবিসিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘কিছুদিন গাজা স্ট্রিপের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে ইসরায়েল।’ হামাসের মতো কোনো সংগঠন যাতে সেখানে আর তৈরি হতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে চায় তারা। অর্থাৎ গাজা স্ট্রিপে ইসরায়েল প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ রাখবে। একইসঙ্গে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, হামাস ২০০ জন পণবন্দিকে মুক্তি না দিলে গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হবে না।

বাইডেন-নেতানিয়াহু কথা : মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সোমবার ফোনে কথা হয়েছে নেতানিয়াহুর। দুই রাষ্ট্রপ্রধানই সে কথা জানিয়েছেন। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে তাদের আবার আলোচনা হতে পারে। আলোচনায় বাইডেন লড়াইয়ে কৌশলগত বিরতির প্রস্তাব দিয়েছেন। সাংবাদিকদের বাইডেন জানিয়েছেন, তিনি যুদ্ধবিরতির কথা বলেননি। কারণ ইসরায়েল আপাতত যুদ্ধবিরতি মানতে চাইছে না। তিনি কৌশলগত বিরতির কথা বলেছেন। ওই সময়ের মধ্যে গাজায় মানবিক ত্রাণ আরও বেশি করে পৌঁছানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন বাইডেন। শিশুদের কবরস্থান গাজায় তেল ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। কারণ হামাস সেই তেল ব্যবহার করবে বলে তাদের অভিযোগ। গুতেরেস জানিয়েছেন, তেল না ঢুকলে ইনকিউবেটরে যে শিশুরা আছে এবং কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্রের সাহায্যে যে রোগীদের চিকিৎসা চলছে তারা মারা যাবে। তেল ছাড়া জেনারেটর চলবে না।

সর্বশেষ খবর