মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

মণিপুরে মেইতি চরমপন্থি সংগঠনগুলো নিষিদ্ধ

মণিপুরে গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে সংখ্যাগুরু মেইতিদের ৯টি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত ছয় মাসে এই সংগঠনগুলো প্রত্যক্ষভাবে সশস্ত্র হামলায় অংশ নিয়েছিল বলে অভিযোগ। তাই বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ) অনুযায়ী, আগামী পাঁচ বছরের জন্য সংগঠনগুলোকে ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষণা করা হয়েছে।

‘নিষিদ্ধ’ ঘোষিত সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠী পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-এর রাজনৈতিক শাখা ‘রেভ্যুলিউশনারি পিপলস ফ্রন্ট’ (আরপিএফ), ‘ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট’ (ইউএনএলএফ)-এর সশস্ত্র শাখা মণিপুর পিপলস আর্মি (এমপিএ), ‘পিপলস রেভ্যুলিউশনারি পার্টি অব কাংলেইপাক’ (প্রিপাক)-এর সশস্ত্র শাখা ‘রেড আর্মি’ এবং ‘কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টি’ (কেসিপি)-এর সশস্ত্র শাখা ‘কাংলেইপাক রেড আর্মি’ ইত্যাদি। মণিপুরে সহিংসতা চলাকালে এই সংগঠনগুলো প্রকাশ্যে আদিবাসী সমাজকে আক্রমণ করেছে এই অভিযোগে এদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে আসছিল কুকিসহ অন্যান্য আদিবাসী সম্প্রদায়। ভারতের প্রধান সন্ত্রাস দমন আইন ইউএপিএর (আনলফুল অ্যাকটিভিটিস প্রিভেনশন অ্যাক্ট) অধীনে গতকাল এ সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পেছনে একগুচ্ছ কারণ দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া সরকার মনে করছে, এই সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা না হলে তাদের প্রভাব বাড়তে থাকত। এ ছাড়া সদস্যের সংখ্যা বাড়তে থাকলে এর নেতিবাচক প্রভাব মণিপুরসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের ওপরে পড়ত।

মণিপুরে ছয় মাস ধরে জাতিগত সহিংসতা চলছে। সহিংসতায় ১৭৫ জনের বেশি মারা গেছেন। এ চরমপন্থি সংগঠনগুলোকে এতদিন ধরে কেন ভারত সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেনি, সেই প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে কুকিসহ অন্যান্য আদিবাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ত চরমপন্থি সংগঠনগুলোকে অতীতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে অভিযান চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। কিন্তু মেইতি সংগঠনগুলো খোলাখুলি এতদিন কাজ করছিল, যা এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করল কেন্দ্র সরকার।

 

 

সর্বশেষ খবর