শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

নিজ্জর হত্যায় জড়িত থাকার প্রমাণ চাইল ভারত

বাকস্বাধীনতার নামে তার অপব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ

নিজ্জর হত্যায় জড়িত থাকার প্রমাণ চাইল ভারত

খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর খুনের ঘটনায় কানাডাকে প্রমাণ পেশ করার দাবি জানাল ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ব্রিটেন সফরে গিয়ে এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে তিনি এই দাবি জানান। তার মন্তব্য, কানাডা সরকারের কাছে কোনো প্রমাণ থাকলে তা দ্রুত পেশ করুক। তিনি বলেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ভারতের জড়িত থাকার যে কথা বলেছিলেন তার স্বপক্ষে প্রমাণ দাখিলের দাবি রাখছেন তিনি। কানাডার নাগরিক ও খালিস্তানপন্থি শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যার ঘটনা তদন্তে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত তারা। কিন্তু কানাডা এ সংক্রান্ত কোনো তথ্যপ্রমাণই ভারতকে দিচ্ছে না। চার দিনের যুক্তরাজ্য সফরের সময় বুধবার লন্ডনে সাংবাদিক লাওনেল বারবারের সঙ্গে আলাপচারিতায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এসব কথা বলেন। সেখানে নিজ্জর খুনের প্রসঙ্গ উঠে আসে। তিনি বলেন, ‘কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর অভিযোগ নিয়ে ওই বিষয়ে (নিজ্জর হত্যা) সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। এখনো আলোচনা চলছে। আমি তাকে বারবার বলেছি, এমন অভিযোগের কোনো ভিত্তি সত্যিই যদি থেকে থাকে, তা হলে সেই সাক্ষ্যপ্রমাণ অনুগ্রহ করে আমাদের দিন।’

একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, নিজ্জর নেতা খুনে যে তদন্ত চলছে, তা ভারত কখনই অস্বীকার করছে না। তবে কানাডা সরকার নিজ্জর খুনে ভারতের জড়িত থাকার যে অভিযোগ করেছে, তা ঠিক নয়। জয়শঙ্কর বলেন, প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর অভিযোগকে অযৌক্তিক এবং ভিত্তিহীন। দীর্ঘদিন ধরে কানাডায় প্রকাশ্যে ভারতবিরোধী যে কার্যকলাপ চলছে, সেই প্রসঙ্গ টেনে আনেন জয়শঙ্কর। এ ব্যাপারে অটোয়ার তরফে যে বাকস্বাধীনতার কথা বলা হচ্ছে, তার সমালোচনা করেন। বাকস্বাধীনতার নামে তার অপব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। নিজ্জর সন্ত্রাসবাদী ছিলেন কি না জানতে চাইলে জয়শঙ্কর বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই তার পরিচয় ছড়িয়ে আছে। কে তাকে কীভাবে দেখবে, সে বিচার জনগণই করবেন। কানাডার শিখ জনগোষ্ঠীর একাংশ ভারত-বিরোধিতা করেই চলেছে। জয়শঙ্করের যুক্তরাজ্য সফরের সময় গত সোমবার কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে ভারতীয় দূতাবাসের এক অনুষ্ঠান বন্ধে বিক্ষোভ করে একদল শিখ। বিক্ষোভের কারণে স্থানীয় পুলিশ ভারতীয় দূতাবাস কর্মকর্তাদের পাহারা দিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়। বিক্ষোভকারীরা সবাই ‘শিখ ফর জাস্টিস’ (এসএফজে) সংগঠনের সদস্য। সংগঠনটি ভারতে নিষিদ্ধ। তাদের বিরুদ্ধে কানাডা সরকার কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।

সর্বশেষ খবর