রবিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

সাত দিনেও উদ্ধার নেই

ভারতে টানেল ধসে ৪০ শ্রমিক আটকা

সাত  দিনেও উদ্ধার নেই

ভারতের উত্তরাখন্ডে একটি হাইওয়ে টানেল ধসে প্রায় ৪০ শ্রমিক মাটির নিচে আটকে পড়ার সপ্তম দিনেও এখনো উদ্ধার কাজে উল্লেখ করার মতো অগ্রগতি নেই। ফলে ভুক্তভোগীদের পরিবারের মধ্যে বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। গত তিন দিন ধরে বিশালাকারের বিশেষায়িত এক ড্রিল মেশিন দিয়ে মাটি গর্ত করে শ্রমিকদের বের করে আনার যে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছিল শুক্রবার সেটা আটকে গেছে। কারণ, ভেঙে গেছে ড্রিল মেশিনটি। গতকাল দ্বিতীয় আরেকটি ড্রিল মেশিন আসার কথা ছিল। সেটি এলে পুনরায় ড্রিল কাজ শুরু হবে বলে স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ধসে পড়া টানেলের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে মাটি ছাড়াও বড় বড় বোল্ডার থাকায় ড্রিল কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। শুক্রবার ভূগর্ভে ড্রিল মেশিনটি বন্ধ হয়ে গেলে উদ্ধারকর্মীরা সেটি পুনরায় চালু করার চেষ্টা করে। সে সময়ে ‘বড় আকারের ফাটলের শব্দ’ শোনার পর তারা কাজ স্থগিত করে বলে রাষ্ট্র-পরিচালিত জাতীয় সড়ক ও অবকাঠামো উন্নয়ন করপোরেশনের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়। গত রবিবার স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উত্তরাখন্ডের উত্তরকাশী জেলায় ব্রহ্মখাল-যমুনাত্রী জাতীয় মহাসড়কের অংশে নির্মাণাধীন ওই টানেলটির একটি অংশ ধসে পড়ে।

পরে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, টানেলটি ধসে পড়ার আগের রাতে সেখানে ৫০ থেকে ৬০ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। ধসের পর যারা টানেলের বেরিয়ে যাওয়ার মুখে কাজ করছিলেন তারা বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। কিন্তু মাটির প্রায় ২০০ মিটার গভীরে কর্মরত ৪০ বা ৪১ জন শ্রমিক আটকা পড়ে যান। টানেলটি প্রায় ৪ হাজার ৫৩১ মিটার লম্বা। মাটি ধসে সেটির বেরিয়ে যাওয়ার মুখটি বন্ধ হয়ে গেছে। তবে মাটির নিচে আটকা পড়া শ্রমিকরা ভালো আছেন বলে এখনো দাবি করে যাচ্ছেন কর্মকর্তারা। টানেল ধসে পড়ার দিন সকাল থেকেই তাদের পাইপের মাধ্যমে খাবার, পানি ও অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। উদ্ধারকর্মীরা ওয়াকি-টকির মাধ্যমে শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। যদিও কথা বলা হচ্ছে, শ্রমিকদের মধ্যে মাথাব্যথা, উদ্বেগ এবং বমি বমি ভাবের লক্ষণ দেখা দিয়েছে। তবে কর্মকর্তারা এ খবর উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, তারা ভালো আছে। জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা দেভেন্দ্র পাটওয়াল রয়টার্সকে বলেন, ‘ধসে পড়া ধ্বংসস্তূপের মধ্যে যে মেশিনটি দিয়ে ড্রিল করা হচ্ছিল সেটি শুক্রবার ভেঙে গেছে। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর থেকে আরেকটি মেশিন আকাশ পথে আনা হচ্ছে। শনিবার দুপুরের পর সেটির পৌঁছে যাওয়ার কথা।’

উদ্ধার কাছে সহায়তা করার জন্য রাজধানী দিল্লি থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উত্তরাখন্ডের পথে রওয়ানা হয়েছেন বলে জানান তিনি। কি কারণে প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার দীর্ঘ এই টানেলটির একটি অংশ ধসে পড়ল সে সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো তথ্য প্রদান করেনি। এনডিটিভি

সর্বশেষ খবর