সোমবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ওয়াশিংটন পোস্টে ইসরায়েল হামাস সমঝোতার খবর

অস্বীকার নেতানিয়াহুর

গাজায় জিম্মি কয়েক ডজন নারী ও শিশুর মুক্তির বিনিময়ে পাঁচ দিনের জন্য সাময়িক সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। চুক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে শনিবার মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট এ খবর জানিয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, ছয় পৃষ্ঠার এই চুক্তির অংশ হিসেবে সংঘাতে জড়িত পক্ষগুলো আগামী পাঁচ দিন সব ধরনের অভিযান স্থগিত রাখবে। আর এ সময়ের মধ্যে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ছোট ছোট দলে প্রাথমিকভাবে ৫০ জন বা তার বেশি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে। কিন্তু ওয়াশিংটন পোস্টের এই খবরের পর তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। কূটনীতিকদের বরাত দিয়ে শনিবার ওয়াশিংটন পোস্ট একটি খবর প্রকাশ করে। যেখানে বলা হয়, কাতারের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে এবং উভয়পক্ষ একটি চুক্তির বিষয়ে একমত হয়েছেন। চুক্তিতে গাজায় পাঠানো ‘মানবিক ত্রাণের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানোর’ কথাও বলা হয়েছে। ওই ত্রাণের মধ্যে বিশেষ করে ‘জ্বালানির’ কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ সংবাদ প্রকাশের পর শনিবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেন, ‘জিম্মিদের নিয়ে অনেক অপ্রমাণিত গুজব, অনেক ভুল প্রতিবেদন ছড়িয়েছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এখন পর্যন্ত কোনো চুক্তি হয়নি। তবে আমি অঙ্গীকার করছি, যখন কিছু বলার থাকবে, আমরা আপনাদের তা জানাব। অপর দিকে ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর টাইমস অব ইসরায়েল থেকে এ বিষয়ে জানতে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদে যোগাযোগ করা হলে তাদের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা এখনো কোনো চুক্তিতে পৌঁছাইনি। তবে একটি চুক্তিতে উপনীত হতে আমরা কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি।’ গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের মতে, এ হামলায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয়। হামাসের হাতে জিম্মি হয় প্রায় ২৪০ জন। ওই হামলার পর যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। হামাসকে ধ্বংস করে দিতে গাজায় আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি সেনা। এরপর থেকে অমানবিক হামলা শুরু করে ইসরায়েল। তাতে এ পর্যন্ত অন্তত ১২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যার অর্ধেকই শিশু।

সর্বশেষ খবর