ইসরায়েলি সেনারা গাজা উপত্যকার প্রধান হাসপাতাল আল-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে টানেলের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ার যে দাবি করেছে সেটিকে ‘ডাহা মিথ্যা’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মুনির আল-বুর্শ। তিনি আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘ইসরায়েলি সেনারা গত আট দিন ধরে হাসপাতালটিতে অবস্থান করলেও এখন পর্যন্ত কিছুই খুঁজে পায়নি।’ আল-শিফা হাসপাতালকে হামাস যোদ্ধারা তাদের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে- এমন অভিযোগে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সেখানে অভিযান পরিচালনা করছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে করে গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় এই চিকিৎসা কেন্দ্রটির ডাক্তার, রোগী, কর্মী ও সেখানে আশ্রয় নেওয়া শত শত মানুষের জীবন ঝুঁকিতে পড়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনিদের বন্দুকের মুখে হাসপাতাল ছাড়তে বাধ্য করছে। যদিও সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসরায়েল।

এদিকে গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত গাজায় ১৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত ও ৩০ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয়। নিহতদের মধ্যে অন্তত ৫ হাজার ৫০০ শিশু ও ৩ হাজার ৫০০ নারী রয়েছেন বলে জানা গেছে।

কিন্তু ইসরায়েলিদের পক্ষে সে সব দাবি প্রমাণ করা সম্ভব হয়নি। তবে রবিবার ইসরায়েলি সেনারা দুটি আলাদা ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে দাবি করে, তারা হাসপাতালে একটি টানেল খুঁজে পেয়েছে। ফুটেজে যে টানেলটি দেখানো হয়, তার অপর মুখ বন্ধ পাওয়া যায় এবং তার ভিতরে কোনো হামাস যোদ্ধা কিংবা কোনো বন্দিকে দেখা যায়নি। সেই সঙ্গে তারা অপর ভিডিওতে দাবি করে, গত ৭ অক্টোবর হামাস তাদের হাতে আটক দুজন বন্দিকে এই হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল; কাজেই তাদের দাবি অনুযায়ী, এই সংগঠন যে হাসপাতালকে তাদের সামরিক কাজে ব্যবহার করে তা প্রমাণ হয়েছে। দখলদার সেনাদের এসব দাবির জবাব দিয়েছে হামাস। সংগঠনটি তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলি সেনারা টানেল খুঁজে পাওয়ার যে দাবি করেছে সেটি হাসপাতালের ভিতরে নয় বরং হাসপাতাল থেকে বেশ খানিকটা দূরে অবস্থিত একটি গর্ত। ভিডিওটিতে একটি পানির কূপ ও আরেকটি টানেলের ভিডিও জোড়া লাগিয়ে প্রদর্শন করা হয়েছে বলে হামাসের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।