বুধবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

দ্বিতীয় শীতে প্রবেশ করছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ

যুদ্ধের প্রথম শীত ছিল ভীষণ কঠিন। কিন্তু সেনারা বলছেন, তারা মানিয়ে নেওয়া শিখে গেছেন

ইউক্রেনে গত সপ্তাহে বছরের প্রথম তুষারপাত হয়েছে। যা যুদ্ধরত সেনাদের জন্য দ্বিতীয় শীত হাজির হওয়ার ইঙ্গিত। যুদ্ধের প্রথম শীত ছিল ভীষণ কঠিন। কিন্তু সেনারা বলছেন, তারা মানিয়ে নেওয়া শিখে গেছেন। জেনে গেছেন কীভাবে উষ্ণ থাকতে হয়।

আর তাইতো আবারও রাশিয়ার সঙ্গে কোনো আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি! ফ্রন্টলাইনে কঠিন পরিস্থিতিতে রয়েছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। এমন অবস্থায়ও জেলেনস্কি স্পষ্টভাবে রাশিয়ার সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনায় বসার কথা প্রত্যাখ্যান করেছেন। বাখমুত শহরের কাছাকাছি একটি স্থানে ইউক্রেনের একটি ইউনিট লড়াই করছে। রাশিয়ার ২২ মাসের আক্রমণে এ রণক্ষেত্রে কয়েকটি ভয়াবহ লড়াই হয়েছে। কিন্তু শীত আসা শুরু করায় ইউক্রেনের সেনারা নতুন করে লড়াইয়ের কথা ভাবছে।

শীতের লড়াই কেমন হয় :  ইউক্রেনের একজন সৈন্য দিমিত্রো। বয়স ৩৬। গত শীতের দুর্ভোগের কথা স্মৃতিচারণ করে দিমিত্রো বলেন, আমার কোমর শীতে অবশ হয়ে যায়। যখন ডিউটি শেষ হয় আমি যা পাই তা গায়ে জড়াই। কখনো তিন জোড়া ট্রাউজার ও কয়েকটি জ্যাকেট এক সঙ্গে পরিধান করি। মাথায় নীল উলের টুপি পরা এ ইউক্রেনীয় সেনা বিবিসিকে বলেন, আমরা সব সময় লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। আমরা অবিরাম গুলিবর্ষণ করছি, সারা দিন। খুব শীত ছিল। বাখমুতের কাছে তিন দিন অবস্থান করবেন দিমিত্রো। রাশিয়ার বিমান ও ড্রোন হামলা থেকে রক্ষা পেতে আশ্রয় কেন্দ্রে থাকেন তিনি।

আলোচনা চান না জেলেনস্কি : দুই বছর হতে চলল যুদ্ধের। এ সময়ে ইউক্রেনের একটি বড় অংশকে প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছে রাশিয়া। কিন্তু তার পরও রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধে আলোচনা চান না ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। দ্য সানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া নিয়ে তার এ অটল অবস্থানের কথা ব্যক্ত করেন। জেলেনস্কিকে প্রশ্ন করা হয়, যুদ্ধক্ষেত্রের অবস্থা কি কঠিন? উত্তরে জেলেনস্কি বলেন, হ্যাঁ। তবে তার পরেও রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্ব করা কিংবা আলোচনার টেবিলে ফিরে যাব না। জেলেনস্কি মনে করেন, রাশিয়া এখনই যুদ্ধ শেষ করতে আগ্রহী নয়। তাই ইউক্রেনও শান্তির বিষয়ে কোনো কথা বলবে না। এ মাসের শুরুতে মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এনবিসি খবর দেয় যে, ইউক্রেনকে শান্তি আলোচনার জন্য চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তারা ইউক্রেনকে বোঝানোর চেষ্টা করছে, রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনা হলে কিয়েভকে কী কী বিষয়ে ছাড় দিতে হতে পারে। এনবিসি জানিয়েছে, অক্টোবর মাসেও এ বিষয়ে কিছু আলোচনা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর