বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইসরায়েলের হাজার সেনাও যে হামাস নেতাকে খুঁজে পায়নি

ইসরায়েলের হাজার সেনাও যে হামাস নেতাকে খুঁজে পায়নি

ইয়াহিয়া সিনওয়ার, যাকে দেখলেই তুষার-শুভ্র চুল এবং কুচকুচে-কালো ভ্রু চোখে পড়বে। তিনি গাজায় হামাসের রাজনৈতিক শাখার নেতা এবং ইসরায়েলের অন্যতম মোস্ট ওয়ান্টেড ব্যক্তি। দেড় মাস ধরে গাজায় ভয়ংকর হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এ হামলার অন্যতম কারণও সিনওয়ারকে ধরা। কিন্তু তিনি অধরা। ইসরায়েলের হাজার হাজার সৈন্য তার হদিস বের করতে ড্রোন, বৈদ্যুতিক আড়ি পাতার যন্ত্র এবং গোপন তথ্যদাতাদের নিয়োগ দেওয়ার মাধ্যমে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এত কিছুর পরও তার কোনো খোঁজ নেই। আর এতে পুরোই অবাক ইসরায়েলি নেতারা। অক্টোবরের শুরুতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি ঘোষণা দিয়েছিলেন, ইয়াহিয়া সিনওয়ার হামাসের কমান্ডার ছিলেন এবং তার সর্বনাশ ঘনিয়ে আসছে। আইডিএফের চিফ অব স্টাফ হারজি হালেভি বলেছেন, এ জঘন্য হামলার সিদ্ধান্ত ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিয়েছিলেন। অতএব তিনি এবং তার অধীনে যারা আছে তাদের বিপদ আসন্ন। এর মধ্যে রয়েছেন হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জেদিন আল-কাসাম ব্রিগেডের নেতা মোহাম্মদ দেইফ। যিনি এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে আছেন। ইসরায়েলের ধারণা সিনওয়ার মাটির নিচে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। কিন্তু তাকে ধরতে পারছেন না। ৬১ বছর বয়সী সিনওয়ার মূলত আবু ইব্রাহিম নামে পরিচিত। তিনি ১৯৮৮ সালে সিনওয়ার দুই ইসরায়েলি সেনাকে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। একই বছর তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ২২ বছরেরও বেশি সময়- অর্থাৎ ১৯৮৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ইসরায়েলি কারাগারে কাটিয়েছেন। কিন্তু এ কারাবাসও তাকে তার মাতৃভূমির স্বাধীনতার স্বপ্ন থেকে ফেরাতে পারেনি। ১২ বছরে হানাদার ইসরায়েলকে শান্তিতে থাকতে দেননি। ইসরায়েলি সেনাদের নানাভাবে ঘায়েল করেছেন তিনি। ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট ফর নিয়ার ইস্ট পলিসির ফেলো এহুদ ইয়ারি, যিনি চারবার কারাগারে সিনওয়ারের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন তিনি বলেন, তিনি হলেন অত্যন্ত চালাক ও বুদ্ধিমান ব্যক্তি যিনি তার আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের সুইচ নিজের ইচ্ছেমতো চালু এবং বন্ধ করতে পারতেন। বিবিসি বাংলা

সর্বশেষ খবর