শনিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

জিম্মিদের যেভাবে হস্তান্তর করছে হামাস

সাত সপ্তাহের ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের পর গতকাল সকাল থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। শর্তানুযায়ী বন্দি মুক্তির প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিকাল ৪টায় প্রথম ১৩ জন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। খবর আলজাজিরার। যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে ঢুকে হামলার সময় বন্দি করা প্রায় ২৪০ ইসরায়েলির মধ্যে ৫০ নারী ও শিশুকে চার দিন ধরে মুক্ত করবে হামাস। এর বিনিময়ে ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি দেড় শ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে (যাদের অনেককে বিনা অভিযোগে আটক করা হয়) মুক্তি দেবে ইসরায়েল। বন্দি মুক্তির প্রক্রিয়ায় প্রথমে, রেডক্রস ইসরায়েলি বন্দিদের রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ে নিয়ে যাবে এবং ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর কাছে তাদের হস্তান্তর করবে। এর পর শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া শেষে বন্দিদের শারীরিক ও মানসিক পরীক্ষার জন্য তেলআবিবের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এর পর আবার স্থানীয় সময় রাত ১২টায় দক্ষিণ পূর্ব ইসরায়েলের হাইফার ড্যামন এবং মেগিদ্দো কারাগারে আটক থাকা ইসরায়েলের ৩৯ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। এর পর তাদের দখলকৃত পশ্চিমতীরের রামাল্লার দক্ষিণে ওফার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হবে এবং সেখান থেকে কাছাকাছি একটি ক্রসিংয়ে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাসের হাতে বন্দি প্রতি ১০ ইসরায়েলিকে মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধবিরতি আরও এক দিন করে বাড়ানোর শর্ত দিয়েছে ইসরায়েল। প্রসঙ্গত, বর্তমানে ইসরায়েলের কারাগারে ৫ হাজার ২০০ জন ফিলিস্তিনি বন্দি আছে। বন্দিদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা যথাক্রমে ৩৩ ও ১৭০। তাদের বিচার হলেও সেটা হয় সামরিক আদালতে।

সর্বশেষ খবর