শনিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
ভারতে টানেল দুর্ঘটনা

এ যেন মহাধৈর্যের পরীক্ষা

এ যেন মহাধৈর্যের পরীক্ষা

ভারতের উত্তরাখন্ডের উত্তরকাশীতে ভেঙে পড়া টানেলে আটকে পড়া শ্রমিকদের বের করে আনতে আবারও বাধার মুখে পড়তে হলো উদ্ধারকারীদের। বৃহস্পতিবার রাতে আটকে পড়া শ্রমিকদের থেকে কয়েক মিটার দূরত্বেই ফের থমকে যায় উদ্ধারকাজ। অথচ ওই দিন বলা হয়েছিল আর কিছুক্ষণের মধ্যে আটকে পড়াদের কাছে পৌঁছানো যাবে। কিন্তু হয়নি। এ যেন ধৈর্যের পরীক্ষা!

জানা গেছে, যে যন্ত্র দিয়ে টানেলের মাটি কাটা হচ্ছিল তাতে প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দেওয়ায় কাজ থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, যে কাঠামোর ওপর দাঁড় করিয়ে যন্ত্রটিকে চালানো হচ্ছিল তাতেও ফাটল দেখা দিয়েছে। সুড়ঙ্গের কাছেই তৈরি করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর অস্থায়ী দফতর। উদ্ধার কাজে নজর রাখতে সেখানেই অবস্থান করেন উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী। টানেলের ভিতরে বুধবার রাতেই ঢুকে পড়েছিলেন ২১ জন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর উদ্ধারকারী। এরপর সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছিল, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার মধ্যে শ্রমিকদের টানেল থেকে বের করে আনা হবে। কিন্তু তা-ও করা যায়নি। এখনো কয়েক মিটার খোঁড়া বাকি আছে। এর আগে বুধবার রাতে ধ্বংসস্তূপ খুঁড়তে খুঁড়তে হঠাৎ সামনে চলে আসে লোহার রড। খননযন্ত্র দিয়ে তা সরানো যায়নি। ফলে উদ্ধারকাজ বাধা পায়। রড কেটে রাস্তা ফাঁকা করতে আরও কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানানো হয়। রডটি কাটতেই বেগ পেতে হয়েছে উদ্ধারকারীদের। এ ছাড়াও একবার কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছিল। টানা  খুঁড়তে খুঁড়তে যন্ত্র অতিরিক্ত গরম হয়ে উঠেছিল। ফলে তা ঠান্ডা করার জন্য আরও কিছুটা সময় লাগে। বৃহস্পতিবার সকালে সংবাদমাধ্যম এএনআই জানিয়েছিল, অবশেষে লোহার রডটি কেটে সরানো গেছে। আটকেপড়া শ্রমিকদের সঙ্গে উদ্ধারকারীদের দূরত্ব আর মাত্র ৬ মিটার। ফলে এবার দ্রুত কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদী সবাই। কিন্তু তারপরই ফের প্রযুক্তিগত সমস্যা। ১২ নভেম্বর উত্তরকাশী জেলার ব্রহ্মতাল-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের ওপর সিল্কিয়ারা এবং ডন্ডালহগাঁওয়ের মধ্যে নির্মীয়মাণ টানেলের একাংশ ধসে পড়ে। এটি সাড়ে ৮ মিটার উঁচু এবং প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ। ভাঙা টনেলের ভিতরেই প্রায় ৬০০ মিটার ধ্বংসস্তূপের পেছনে আটকে পড়ে ৪০ শ্রমিক। এনডি টিভি

সর্বশেষ খবর