বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধবিরতি

যেভাবে সফল কাতার

গাজায় দেড় মাসের চরম হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের পর শেষ পর্যন্ত হামলা বন্ধ (যুদ্ধবিরতি) করেছে ইসরায়েল। তবে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গত সপ্তাহের অস্ত্র বিরতির মধ্যস্থতা করার পর আবারও আলোচনায় উঠে এসেছে মধ্যপ্রাচ্যের গ্যাসসমৃদ্ধ দেশ কাতার। যে দেশটি সর্বশেষ ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজন করে প্রশংসা কুড়িয়েছে। এ ঘটনার পর রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, কাতার সূক্ষ্মভাবে আন্তর্জাতিক ভারসাম্য রক্ষায় নিজের ভূমিকা তুলে ধরেছে। গত ২৪ নভেম্বর থেকে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চার দিনের একটি অস্ত্রবিরতি শুরু হয়। পরে সেটি আরও দুই দিন বাড়ানো হয়। এই অস্ত্রবিরতির মধ্যস্থতা করেছে কাতার। কাতারের পররাষ্ট্রবিষয়ক মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি একটি চুক্তির ঘোষণা করেন যার মধ্যে অস্ত্রবিরতি এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত আছে। চলতি সংঘাতের শুরু থেকেই মিসর আর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতার চেষ্টা করে আসছিল কাতার। ১৯৯৫ সালে শেখ হামাদ বিন খলিফা আল থানি কাতারের আমির হওয়ার পর থেকে দেশটি মধ্যপ্রাচ্যে নিজেকে মধ্যস্থতাকারীর জায়গায় প্রতিষ্ঠা করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পশ্চিমা দেশগুলো যেসব ‘রাষ্ট্র নয় এমন সত্তা’ যেমন বিভিন্ন আদিবাসী ও সশস্ত্রবাহিনী- যাদের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত নয়, এমন সব প্রতিষ্ঠান বা গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গেও আলোচনা করে কাতার। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এসব গোষ্ঠীর তালিকায় যুক্ত হয়েছে আফগানিস্তানের তালেবান, সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী, হামাস এবং ফিলিস্তিনের অন্যান্য সংগঠন যেমন ইসলামিক জিহাদ। বার্তা সংস্থাগুলো অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের তথ্য অনুযায়ী, কাতারে আশ্রয় নিয়েছেন হামাসের শীর্ষ নেতা খালেদ মাশাল যিনি ১৯৯৭ সালে জর্ডানে ইসরায়েলি হত্যাকান্ডের প্রচেষ্টা থেকে বেঁচে যান। এ ছাড়া হামাসের সুপ্রিম লিডার ইসমাইল হানিয়াহ কাতারে বাস করেন। ইরানের সঙ্গেও কাতারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। কয়েক বিলিয়ন ডলারের যৌথ প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে তাদের। গত কয়েক দশকে এ ধরনের সম্পর্ক কাতারকে এমন একটি অবস্থানে নিয়ে গেছে যেখানে দেশটি এই গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং ইসরায়েলের চুক্তির বিষয়ে মধ্যস্থতা করে থাকে।

সর্বশেষ খবর