মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

গায়ানার ভূখণ্ড নিজের দাবি করে ভেনেজুয়েলায় গণভোটের রায়

গায়ানার বিতর্কিত তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল এসেকুইবোর মালিকানার দাবির পক্ষে গণভোটে রায় দিয়েছেন ভেনেজুয়েলার নাগরিকরা। রবিবারের গণভোটে শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষ এসেকুইবোতে ভেনেজুয়েলার একটি নতুন রাজ্য প্রতিষ্ঠার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো গণভোটের ফলাফলকে তার দেশের অপ্রতিরোধ্য বিজয় বলে স্বাগত জানিয়েছেন। গায়ানা ও ভেনেজুয়েলার মধ্যে এসেকুইবো নিয়ে সম্প্রতি উত্তেজনা বাড়ছে। অঞ্চলটির আয়তন ১ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ বর্গকিলোমিটারের মতো। সেখানে ১ লাখ ২৫ হাজার নাগরিকের বসবাস। কারাকাসের দাবি, ২০০ বছর আগে স্পেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর থেকেই অঞ্চলটি ভেনেজুয়েলার অংশ ছিল। কিন্তু গায়ানার দাবি, ১৯ শতকের শেষ দিকে তৎকালীন ব্রিটিশ গায়ানা নামের অঞ্চলটিকে গায়ানাকে দেওয়া হয়েছে।

১৮৯৯ সালে একটি আন্তর্জাতিক সালিশি ট্রাইব্যুনাল ভূখণ্ড টিকে ব্রিটেনের বলে রায় দেয়। ওই সময় গায়ানার ঔপনিবেশিক শাসক ছিল ব্রিটেন। কিন্তু গত কয়েক দশক ধরে ভেনেজুয়েলার সরকার দাবি করছে, ওই রায় ন্যায্য ছিল না। ১৯৬৬ সালে গায়ানা স্বাধীনতা লাভ করে। ব্রিটেন ও ভেনেজুয়েলা গায়ানা ও ভেনেজুয়েলার প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কমিশন গঠনে রাজি হয় এই বিরোধ মীমাংসার জন্য। কিন্তু ছয় দশক পরও কোনো সমাধান হয়নি। ২০১৫ সালে মার্কিন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান অঞ্চলটিতে তেল অনুসন্ধান করতে গেলে বিরোধ আবারও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ২০১৮ সালে বিষয়টি সমাধানে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত (আইসিজে)-এর দ্বারস্থ হয়েছে গায়ানা। কিন্তু এই ইস্যুতে আইসিজের এখতিয়ার রয়েছে বলে স্বীকৃতি দেয়নি ভেনেজুয়েলা। যদিও আদালতের শুনানিতে হাজির থাকছে দেশটি।

গণভোটে কয়েকটি প্রশ্ন রাখা হয়েছিল। এর মধ্যে ছিল এসেকুইবোতে ভেনেজুয়েলার মালিকানার দাবি এবং আইসিজির এখতিয়ারকে সরকারের অস্বীকৃতিকে তারা সমর্থন করেন কি না।

গণভোটকে ভূখ একত্রীকরণের জন্য আগ্রাসী প্রচেষ্টা হিসেবে নিন্দা জানিয়েছে গায়ানা। আর শুক্রবার আইসিজে ভেনেজুয়েলাকে নির্দেশ দিয়েছে যে, বর্তমান অবস্থা ব্যাহত হয় এমন কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে।

 

 

 

সর্বশেষ খবর