বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্র

নতুন আতঙ্ক হোয়াইট লাং সিনড্রোম

হোয়াইট লাং সিনড্রোম। চীন, ডেনমার্ক, যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডসসহ একাধিক দেশে এখন নতুন আতঙ্ক এই রোগ। তবে শিশুরাই এই রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। আক্রান্তের ফুসফুস স্ক্যান করে যে ছবি উঠে আসছে, সেটি দেখেই রোগটির ডাকনাম রাখা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া নামে এক ব্যাকটিরিয়াল সংক্রমণ এই রোগের মূল কারণ। আশঙ্কার কারণ হলো- বহু অ্যান্টিবায়োটিকই এই রোগ নিরাময়ে কার্যকর হচ্ছে না। ফলে চিন্তা বাড়ছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, ডেনমার্কে পরিস্থিতি সবচেয়ে বিপজ্জনক। ‘হোয়াইট লাং সিনড্রোম’ সেখানে কার্যত মহামারির চেহারা নিয়েছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য প্রশাসনের বক্তব্য, এই মুহূর্তে সংক্রমণের যা ছবি তার সঙ্গে করোনা সংক্রমণের আদি-পর্বের অনেকটাই মিল রয়েছে। নেদারল্যান্ডসের এই সন্দেহজনক ‘নিউমোনিয়া’ আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে বলে খবর। বাদ নেই সুইডেনও। আটলান্টিক মহাসাগরের ওপারে, যুক্তরাষ্ট্রের ওহায়ো প্রদেশের একাধিক জায়গাতেও এই সংক্রমণের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে। প্রশাসনের দাবি, এখানেও আক্রান্ত শিশুদেরই হাসপাতালে বেশি ভর্তি করতে হচ্ছে।

মার্কিন ‘সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ জানাচ্ছে, তারা নিয়মিত চীনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। তবে তাদের বক্তব্য, এই প্যাথোজেন অচেনা নয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আক্রান্তের কাশি, হাঁচি, কথাবার্তা, গান, এমনকি নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের মধ্যে থেকেও যে ‘ড্রপলেট’ বেরোয়, তা থেকে এই সংক্রমণ ছড়াতে পারে। ‘হোয়াইট লাং সিনড্রোম’-এর উপসর্গ হিসেবে জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা ও ক্লান্তির লক্ষণের কথা বলছেন ডাক্তাররা। তাঁদের বক্তব্য, ‘হোয়াইট লাং সিনড্রোম’ আসলে ‘নিউমোনিয়া’রই গুরুতর রূপ। এর ফলে ফুসফুসে ‘স্কারিং’ তৈরি হয়, রং ফ্যাকাশে হতে থাকে। সেই লক্ষণ থেকেই এই নামকরণ।

 

সর্বশেষ খবর