বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভোটাভুটি

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভোটাভুটি

নিরাপত্তা পরিষদের ব্যর্থতার পর গাজায় অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে গতকাল ভোটাভুটির আয়োজন করেছে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ। যদিও এই ভোটের সিদ্ধান্ত মানার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই ইসরায়েলের। শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিলে যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ ভেস্তে যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে চাপ তৈরির লক্ষ্যে সাধারণ পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করা হয়। এর উদ্যোগ নিয়েছে আরব দেশগুলো।

১৯৩ সদস্যের সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি পাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে গতকাল রাত ৮টা পর্যন্ত ভোটের ফলাফল যানা যায়নি। তবে সাধারণ পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাব মানা বাধ্যতামূলক না হলেও এর রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। বিষয়টি বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রতিফলিত করে। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও কয়েকশ বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন।

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেছে, গাজা উপত্যকায় এখন অনেক মানুষ দুই-তিন দিন ধরে না খেয়ে আছে। গাজায় খাদ্য, পানি ও জ্বালানিকে পদ্ধতিগতভাবে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানকার সবাইকে ক্ষুধা তাড়া করছে। এর আগে রবিবার জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর এপিকে বলেন, নিরাপত্তা পরিষদে ব্যর্থ হওয়া প্রস্তাবটি ১০৩টি দেশের সমর্থন ছিল। মঙ্গলবার সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবের জন্য উচ্চ ভোটের আশা করছেন তিনি। এর আগে নিরাপত্তা পরিষদের ভোটাভুটিতে ১৫ সদস্য দেশের ১৩টিই প্রস্তাবে সমর্থন জানায়। যুক্তরাজ্য ভোট প্রদানে বিরত থাকে। আর প্রস্তাবের বিরোধিতা করে ভেটো দেয় পরিষদের স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস জাতিসংঘ সনদের ৯৯ ধারা প্রয়োগ করায় সেবারের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব বেশ আলোচনায় ছিল। সেই ব্যর্থ হওয়ার পর অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, পরিষদের কর্তৃত্ব ও বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষুণœ হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি গাজা উপত্যকায় জনশৃঙ্খলা একেবারে ভেঙে পড়েছে বলেও সতর্ক করেছেন। এ ছাড়া আরও অনেক দেশ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো নিরাপত্তা পরিষদের ব্যর্থতায় হতাশা প্রকাশ করেছে। 

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ লোক নিহত হয়েছে। কিন্তু গাজায় ইসরায়েলের পাল্টা হামলা শুরুর পর এই পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার ফিলিস্তিনি। এদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। চলমান যুদ্ধে জাতিসংঘের ত্রাণকর্মী প্রাণ হারিয়েছে একশ’রও বেশি।

সর্বশেষ খবর