বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

পোল্যান্ডে উগ্র জাতীয়তাবাদীদের বিদায়

১৫ অক্টোবরের নির্বাচনে হেরেও বিতর্কের পথ ছাড়েনি পিস পার্টি। পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আনজেই দুদা দলটিকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তারা পার্লামেন্টে সংখ্যা গরিষ্ঠতা দেখাতে পারেনি

ইউরোপে এখন তেমন স্বৈরতান্ত্রিক রাষ্ট্র নেই। আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু সোমবার রাতে পোল্যান্ডে রাজনৈতিক পালাবদলের ফলে ইউরোপের বড় অংশ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। উগ্র জাতীয়তাবাদী পিস পার্টির আট বছরের শাসনকালের অবশেষে সমাপ্তি ঘটেছে। একের পর এক বিতর্কিত পদক্ষেপ নিয়ে এ দল পোল্যান্ডের গণতান্ত্রিক কাঠামো ও আইনের শাসন দুর্বল করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সংঘাতের পথ বেছে নিয়েছিল। ফলে কোটি কোটি ইউরো অঙ্কের ইইউ অনুদান এতকাল আটকে ছিল।

১৫ অক্টোবরের সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েও বিতর্কের পথ ছাড়েনি পিস পার্টি। সেই দলেরই প্রাক্তন সদস্য ও বর্তমানে পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আনজেই দুদা নির্বাচনে জয় সত্ত্বেও বিরোধী জোটকে প্রথমে  সরকার গড়ার সুযোগ দেননি। তিনি দ্রুত রাজনৈতিক পালাবদলের বদলে প্রহসনের পথ বেছে নিয়ে পিস পার্টির প্রধানমন্ত্রী মাটেউশ মোরাভিয়েৎস্কিকে আবার সরকার গড়তে বলেন। সংবিধান অনুযায়ী সরকার গঠনের দুই সপ্তাহের মধ্যে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে গিয়ে সোমবার শেষ পর্যন্ত নতি স্বীকার করেন মোরাভিয়েৎস্কি। সে দিনই বিরোধী জোটের নেতা ও ইইউ সরকার পরিষদের সাবেক প্রধান ডোনাল্ড টুস্ক পার্লামেন্টে  সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেন।

পোল্যান্ডে রাজনৈতিক পরিবর্তনের বাতাস সত্ত্বেও পিস পার্টির আমলে নেওয়া বিতর্কিত সিদ্ধান্তগুলো আবার প্রত্যাহার করা যে সহজ হবে না, সোমবারই তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। দেশের সাংবিধানিক ট্রাইব্যুনাল এক রায় অনুযায়ী নতুন সরকার যদি সংস্কার আনতে আইন অনুমোদন করে, সেই সিদ্ধান্ত হবে অসাংবিধানিক। টুস্কের মতো ইউরোপপন্থি নেতা পোল্যান্ডের হাল ধরলেও আইনি সংস্কার না করলে ইইউ তহবিলের নাগাল পাওয়া যাবে না।

পিস আমলে নিযুক্ত ট্রাইব্যুনালের বিচারপতিরা এবং সেই শিবিরেরই প্রেসিডেন্ট দুদা ভেটো শক্তি প্রয়োগ করে টুস্কের উদ্যোগ বানচাল করতে পারেন। এমন কঠিন পরিস্থিতি সত্ত্বেও ইউরোপীয় নেতারা আন্তরিকভাবে ডনাল্ড টুস্ককে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর