রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

গাজায় পর্যুদস্ত ইসরায়েলি সেনারা

আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সদস্যদের নিহতের সংখ্যা গাজায় বেড়েই চলছে। এ সংখ্যা ইতোমধ্যে ২০১৪ সালে স্থল অভিযানের সময় নিহত ইসরায়েলি সেনাদের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে। হামাসের গেরিলা কৌশল এবং বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রের কার্যকর ব্যবহারই ইসরায়েলি সেনাদের পর্যুদস্ত করছে বলে গতকাল জানিয়েছে রয়টার্স।

ইসরায়েলি সামরিক বিশেষজ্ঞ, একজন ইসরায়েলি কমান্ডার ও হামাসের একটি সূত্র জানিয়েছে, কীভাবে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী একটি বড় অস্ত্রের মজুদ, ভূখন্ড সম্পর্কে তাদের জ্ঞান এবং সুবিশাল টানেল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে গাজার রাস্তাগুলোকে একটি মারাত্মক গোলক ধাঁধায় পরিণত করেছে। হামাসের যোদ্ধাদের হাতে রয়েছে গ্রেনেড সজ্জিত ড্রোন থেকে শুরু করে শক্তিশালী টুইন চার্জ অ্যান্টি-ট্যাংক অস্ত্র। অক্টোবরের শেষের দিকে ইসরায়েলের স্থল অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ১১০ সেনা নিহত হয়েছে। এদের প্রায় এক চতুর্থাংশ ট্যাংক ক্রু ছিল। অথচ ২০১৪ সালে তিন সপ্তাহের সংঘাতে ৬৬ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছিল। ওই সময় হামাসকে নির্মূল করা ইসরায়েলি লক্ষ্য ছিল না। অবসরপ্রাপ্ত ইসরায়েলি মেজর-জেনারেল এবং সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ইয়াকভ অ্যামিড্রর বলেন, ‘২০১৪ সালের সঙ্গে এই যুদ্ধের তুলনা করা যায় না। ওই সময় আমাদের বাহিনী বেশিরভাগই গাজার অভ্যন্তরে এক কিলোমিটারের ভিতরে কাজ করত না।’ তিনি জানান, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ‘এখনো টানেলের জন্য একটি ভালো সমাধান খুঁজে পায়নি।’ হামাস চলতি মাসে তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যে ভিডিও পোস্ট করেছে যাতে দেখা যাচ্ছে, বডিক্যামসহ যোদ্ধারা সাঁজোয়া যানগুলোতে রকেট হামলা চালানোর জন্য ভবনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ৭ ডিসেম্বর ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছিল গাজা শহরের পূর্বের শেজাইয়া থেকে। ওই এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে প্রচ- লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে। ৫ ডিসেম্বরের অন্য একটি পোস্টে, একটি সুড়ঙ্গ থেকে ক্যামেরা বের হতে দেখা গেছে। তাতে ইসরায়েলি সেনাদের বিশ্রামরত অবস্থায় একটি ক্যাম্পে দেখা গেছে। পরে সেখানে ভূগর্ভস্থ বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে হামাসের একটি সূত্র বলেছে, ‘আমরা যে ভূমিটিকে চিনি অন্য কেউ সেভাবে চেনে না এবং আমরা এর সদ্ব্যবহার করছি। আমাদের ক্ষমতা এবং তাদের ক্ষমতার মধ্যে একটি বিশাল ব্যবধান রয়েছে, আমরা নিজেদের বোকা ভাবি না।’

সর্বশেষ খবর