উত্তর গাজায় আরেকটি হাসপাতাল ধ্বংস করল ইসরায়েল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) প্রধান রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, কামাল আদওয়ান নামে ওই হাসপাতালে অন্তত আট রোগীর মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে একটি ৯ বছরের বাচ্চা আছে।
হু জানিয়েছে, বেশকিছু স্বাস্থ্য কর্মীকে আটক করে নিয়ে গেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের বিষয়ে দ্রুত খবর দিতে হবে বলে দাবি করা হয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, হামলার সময় বেশকিছু রোগী নিজ দায়িত্বে হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেছেন। কিন্তু সবার পক্ষে পালানো সম্ভব হয়নি। যারা পালাতে পারেনি, তাদেরই মৃত্যু হয়েছে। যে হাসপাতালটি ধ্বংস হয়েছে, সেটি খুব বড় নয় বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কিন্তু তাদের বক্তব্য, গাজায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামো এমনিতেই বেহাল। তার ওপর আরও একটি হাসপাতাল ধ্বংস হওয়ায় পরিস্থিতি ভয়াবহ জায়গায় পৌঁছে গেছে। এ পরিস্থিতিতে দ্রুত সংঘর্ষ বিরতির দাবি করেছে ডব্লিউএইচও। এ বিষয়ে ইসরায়েলের এক প্রতিনিধিও অবশ্য মন্তব্য করেছেন। তার বক্তব্য, গোটা পোস্টটিতে ডব্লিউএইচও প্রধান একবারের জন্যও লেখেননি যে, হামাস হাসপাতালগুলোকে শেল্টার হিসেবে ব্যবহার করছে।
শরণার্থী শিবিরে হামলায় নিহত ৯০ : ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের জার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে অন্তত ৯০ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। হতাহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। স্থানীয় সময় রবিবার এ হামলার ঘটনা ঘটে। আলজাজিরা জানিয়েছে, জাবালিয়া শহরের একটি আবাসিক ব্লকে হামলা চালানো হয়। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও আহত ব্যক্তি ও লাশ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হামলায় নিহতদের মধ্যে ‘প্যালেস্টানিয়ান ইসলামিক জিহাদ’ দলের মুখপাত্র দাউদ শেহাবের ছেলে রয়েছেন। এ দলের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা লাশের সংখ্যা অনেক বেশি।দীর্ঘ সুড়ঙ্গ খুঁজে পাওয়ার দাবি ইসরায়েলের : ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বেশ বড় একটি সুড়ঙ্গ খুঁজে পেয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সীমান্ত এলাকায় হামাসের যেসব সুড়ঙ্গের সন্ধান পাওয়া গেছে তার মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় বলে বলা হচ্ছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা খবরটি জানিয়েছে। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানান, এরেজ সীমান্ত ক্রসিং থেকে কয়েকশ মিটার দূরে সুড়ঙ্গটির প্রবেশ মুখের সন্ধান মিলেছে। এটির দৈর্ঘ্য চার কিলোমিটারের বেশি বা প্রায় আড়াই মাইল।
অবিলম্বে টেকসই যুদ্ধবিরতি চায় ফ্রান্স-জার্মানি-যুক্তরাজ্য : গাজায় ইসরায়েল-হামাস চলমান যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ করা এবং দীর্ঘমেয়াদে টেকসই যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে ফ্রান্স ও জার্মানি। এর সঙ্গে যোগ দিয়েছে যুক্তরাজ্য। গাজায় লড়াইয়ে প্রচুর মানুষ নিহত হতে থাকায় ফ্রান্স ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও। জার্মান এবং যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা কেবল আজ লড়াই বন্ধ হওয়াই নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদে তা বন্ধ হওয়ার পক্ষে। দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাজ্যের ‘সানডে টাইমস’-এ লেখা এক নিবন্ধে সে কথাই জানিয়েছেন। ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, গাজার যুদ্ধে অবিলম্বে একটি যুদ্ধবিরতি হওয়া জরুরি। তাহলে জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য একটি যুদ্ধবিরতির দিকে এগোনো সম্ভব হবে।