শিরোনাম
শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ভারতে বিরোধী দলবিহীন ফাঁকা লোকসভায় ‘বিতর্কিত’ বিল পাস

গণপিটুনির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদন্ড, এ বিষয়ে লোকসভায় বিল পাস হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, রাষ্ট্রদ্রোহ আইন বাতিল হবে। বিরোধীশূন্য লোকসভায় বুধবার তিনটি আইনের সংশোধনী পাস হয়েছে। এই সংশোধনীগুলো হলো ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ২০২৩’, ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ২০২৩’ এবং ‘ভারতীয় সাক্ষ্য ২০২৩’। এর ফলে গণপিটুনিতে মৃত্যুর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদন্ড চালু হতে যাচ্ছে।

ভারতে কিছুদিন ধরে গণপিটুনিতে প্রচুর মানুষ মারা গেছেন। গরু পাচারকারী বা ছেলেধরা সন্দেহে অনেক জায়গায় গণপিটুনিতে প্রচুর মৃত্যু হয়েছে। কেন্দ্র এর আগে আশ্বাস দিয়েছিল, এর বিরুদ্ধে কড়া আইন করা হবে। সেই সংশোধনীই আনা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, আইন যাতে কেউ নিজের হাতে তুলে নিতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভারতীয় দন্ড বিধি তৈরি হয়েছিল ১৮৬০ সালে। তার ১৩ বছর পর ১৮৭৩ সালে ফৌজদারি দন্ড বিধি। এর এক বছর আগে ১৮৭২ সালে ব্রিটিশ সরকার প্রণয়ন করেছিল সাক্ষ্য আইন। ব্রিটিশদের তৈরি ফৌজদারি দন্ড বিধিতে সন্ত্রাসবাদের উল্লেখ ছিল না। কাজেই তার সংজ্ঞাও ছিল না। একই রকম ছিল না গণপিটুনির উল্লেখ।

তবে বিরোধীদের অভিযোগ, সরকার ইচ্ছাকৃতভাবেই লোকসভা ও রাজ্যসভাকে বিরোধীশূন্য করে তুলেছে, যাতে এসব বিতর্কিত বিল নিয়ে আলোচনার সময় বিরোধীরা সরব হতে না পারে। ১৩ ডিসেম্বর সংসদে ‘হামলা’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে বিক্ষোভ করায় দফায় দফায় ১৪৩ সংসদ সদস্যকে লোকসভা ও রাজ্যসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়। ভারতীয় সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে পাইকারি হারে এতজন সদস্যকে বহিষ্কারের ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি।

সর্বশেষ খবর