রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ভূমধ্যসাগরে নৌ-চলাচল বন্ধের হুমকি ইরানের

ভূমধ্যসাগরে নৌ-চলাচল বন্ধের হুমকি ইরানের

লোহিত সাগরে ইয়েমেনি বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতির হামলায় ইসরায়েল-সংশ্লিষ্ট নৌ চলাচল বন্ধ হওয়ার দশা। আর সে কারণে কয়েকটি দেশ মিলে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের এমন কান্ডে ক্ষেপেছে ইরান। এবার ইরানের বিপ্লবী গার্ডের এক শীর্ষ কমান্ডার ভূমধ্যসাগরে নৌ চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তবে কীভাবে ভূমধ্যসাগরে নৌ চলাচল বন্ধ করা হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। বিপ্লবী গার্ডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা নাকদি বলেছেন, তারা অচিরেই ভূমধ্যসাগর বন্ধ করে দেবেন। এর আগে হোয়াইট হাউস অভিযোগ করেছে, লোহিত সাগরে বাণিজ্য জাহাজ চলাচল বন্ধ করার পেছনে ইরানের গভীর যোগ রয়েছে। লোহিত সাগরে জাহাজে হামলায় ইরান জড়িত : লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর বিরুদ্ধে অভিযানের পরিকল্পনায় ইরান ‘গভীরভাবে জড়িত’ এবং দেশটির গোয়েন্দারা জাহাজগুলোকে লক্ষ্যস্থল করতে ইয়েমেনের হুতিদের সক্ষম করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলে হোয়াইট হাউস অভিযোগ করেছে। হুতিরা লোহিত সাগরের জলপথে থাকা বিভিন্ন বাণিজ্যিক জাহাজে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে। ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজার বাসিন্দাদের পক্ষ হয়ে ইসরায়েলে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলোতে তারা হামলা চালাচ্ছে বলে দাবি হুতিদের। ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত এই গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের নির্মম হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তারা লোহিত সাগরে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত ও ইসরায়েল অভিমুখী সব জাহাজে হামলা চালিয়ে যাবে। হুতিদের হামলার মুখে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শিপিং গ্রুপ ভূমধ্যসাগরীয় শিপিং কোম্পানি (এমএসসি) ওই রুটে তাদের জাহাজ চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। ফরাসি শিপিং কোম্পানি সিএমএ সিজিএমও একই পদক্ষেপ নিয়েছে। লোহিত সাগরে জাহাজে হামলার হুমকি বেড়ে যাওয়ায় এর আগে ওই জলপথে নিজেদের বাণিজ্যিক জলযানের চলাচল বন্ধ করে দেয় বৃহৎ ডেনিশ শিপিং কোম্পানি মেয়ার্স্ক এবং জার্মানির পরিবহন কোম্পানি হাপাগ লয়েড। এসব কোম্পানির জাহাজগুলো এখন আফ্রিকার উত্তমাশা অন্তরীপ ঘুরে দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছে। শুক্রবার এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র এড্রিয়েন ওয়াটসন বলেছেন, ‘আমরা জানি, লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিকল্পনায় ইরান গভীরভাবে জড়িত।

এই বিষয়টি ওই অঞ্চলে হুতিদের অস্থিতিশীল কর্মকান্ডে ইরানের দীর্ঘদিন ধরে উৎসাহ ও উপাদান সরবরাহ করে আসার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এটি একটি আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ, যেটি সম্মিলিত পদক্ষেপ দাবি করে।’ তবে ইরান লোহিত সাগরের বাণিজিক জাহাজে হুতিদের হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছে, লোহিত সাগরে জাহাজগুলোকে হামলা থেকে সুরক্ষা দিতে সাহায্য করার লক্ষ্যে ২০ দেশের অংশগ্রহণে একটি নৌ-শক্তির জোট গঠন করা হয়েছে। এই জোট লোহিত সাগরে যৌথ টহলদারির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন নতুন টহল জোট ‘অপারেশন প্রস্প্যারিটি গার্ডিয়ান’-এ অংশ নেওয়া দেশগুলো হলো বাহরাইন, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সিশেলস, স্পেনসহ আরও ১০টি দেশ। আল জাজিরা

সর্বশেষ খবর