নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলে একাধিক গ্রামে দফায় দফায় সশস্ত্র হামলায় অন্তত ১৬০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। সোমবার স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, রোববার রাতে নিহতের সংখ্যা মাত্র ১৬ জন বলে জানিয়েছিল দেশটির সেনাবাহিনী।
মধ্য নাইজেরিয়ার পাতিউ রাজ্যের বেশ কয়েকটি গ্রামে ধর্মীয় বিবাদে হামলা চালায় একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, তাতেই মৃত্যু হয়েছে ১৬০ জনের। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০০ জন।
ধর্মীয় ও জাতিগত উত্তেজনায় বিগত কয়েক বছর ধরেই জর্জরিত পাতিউ রাজ্যটি। যে অঞ্চলগুলিতে হামলা চালিয়েছে জঙ্গি গোষ্ঠী, সেখানে বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায় পাশাপাশি বসাবস করেন বলেই জানা গিয়েছে। স্থানীয় মুসলিম পশুপালক এবং খ্রিষ্টান কৃষক সম্প্রদায়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে বিবাদ। জেনে বুঝেই জাতিগত উত্তেজনা তৈরি করতে হামলা চালানো হয়েছে। স্থানীয়ভাবে এই সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ‘ডাকাত’ হিসেবে পরিচিত। এদিন তারা ২০টি পৃথক সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ চালায়। হত্যার পাশাপাশি একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন করে ধর্মীয় সংঘর্ষের জেরে অসংখ্য মানুষের মৃত্যুতে সমালোচনার মুখে পড়েছে নাইজেরিয়ার বর্তমান সরকার। চলতি বছরে একাধিক হামলায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর পরেও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ স্থানীয়দের।এর আগে নাইজেরিয়া সেনার ড্রোন বিস্ফোরণে ৮৫ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। প্রশাসন ওই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে জানায়, জঙ্গি দমন অভিযানে ভুল করে ওই ঘটনাটি ঘটেছিল।
-(1.jpg?v=1721316783)
